সিলেটে বন্যার পানি নামছে ধীর গতিতে, কিন্তু বাড়ছে যতসব দুর্ভোগ আর ভোগান্তিফলে বন্যা দুর্গত সাধারণ মানুষের খাদ্য বিশুদ্ধ, পানির অভাবসহ নানান ধরনের অভাব-অনটনের মধ্যে দিনানিপাত করতে হচ্ছে। করোনা মহামারি আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যার কারণে মানুষজন এক মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
সিলেটের প্রধান নদী সুরমা-কুশিয়ারার পানি ধীর-গতিতে কমলেও নদীদ্বয়ের উৎস মুখ আমলসিদ, শেওলা, ফেঞ্চুগঞ্জে এবং কানাইঘাট, সিলেট নগরীর কীন ব্রিজের পয়েন্ট গুলোতে এখনও বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অব্যাহত বৃষ্টিপাত কমলেও উত্তর-পূর্ব আসাম ও কাছাড় অঞ্চলের পানি বরাক নদী দিয়ে এখনও প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে, ফলে কুশিয়ারা নদীর তীরের সাধারণ মানুষ বন্যার আতংকে ভুগছেন। বন্যার পানি ধীরে-ধীরে কমতে থাকলেও বন্যা দুর্গত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থার সাথে বন্যার্তদের মধ্যে ঔষধ-পত্র বিতরণ করা খুবই প্রয়োজন।
সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তা, জকিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ, ছাড়াও সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন বাসা-বাড়ী থেকে বন্যার পানি ধীরগতিতে নামছে। পানি নামার সাথে দেখা দিচ্ছে নানা ধরনের রোগ-ব্যাধি। এ সব রোগ-ব্যাধি থেকে দুর্গত সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
করোনা নামক মহামারির প্রাক্কালে বন্যায় ক্ষত-বিক্ষত সিলেট অঞ্চলের বন্যা-দুর্গত মানুষের স্বাস্থ্যগত যে কোন অনাকাক্সিক্ষত কিছু না ঘটে, এ ব্যাপারে ও সরকারকে মনোযোগী হতে হবে। বন্যা দুর্গত এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী প্রেরণ করার বিকল্প নেই।
সিলেট অঞ্চলের হাওরাঞ্চলের বন্যার পানি ধীর গতিতে নামায় হাওরাঞ্চলের মানুষকে চরম দুর্ভোগের মধ্যে বসবাস করতে হচ্ছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া জরুরী।
বন্যা দুর্গত এলাকায় স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে আগে-ভাগে দুর্গত এলাকা সমূহে মেডিকেল টিম প্রেরণ করার প্রস্তুতি নিতে হবে। যা মানব কল্যাণে জন-বান্ধব হিসাবে কাজ করতে সহায়তা করে। তাই বন্যা-দুর্গত মানুষের এ দুর্দিনে সরকারের সকল প্রকার সহায়তার সাথে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সমূহ এগিয়ে আসা সচেতন মহলের প্রত্যাশা।