স্টাফ রিপোর্টার :
এসএমপির ৩ থানার পুলিশের অভিযানে ১১ জুয়াড়ি, ২ মাদক ব্যবসায়ী ও একজন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিসহ ১৪ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত শনিবার রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে এই ১৪ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
এসএমপি’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের জানান, শনিবার রাত ১০টার দিকে নগরীর কুয়ারপাড় পয়েন্টস্থ লাবুল আহমদের বাসায় জুয়া খেলারত ১১ জনকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানার একদল পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার গনেশপুর গ্রামের মৃত মারফত আলীর পুত্র মো. সেলিম (৫৫), নগরীর লালাদিঘীরপাড় এলাকার ২০ নং বাসার শাহীন মিয়ার পুত্র মো. ছাব্বির (২২), একই এলাকার শাকিলের বাসার ভাড়াটিয়া ও মৃত সতিশ মিয়ার পুত্র সোলেমান (৩৬), ১৩ নং বাসার মৃত বাদশা মিয়ার পুত্র লাবুল (৫০), ৮৮ নং বাসার মো. মাখন মিয়ার পুত্র মো. রুবেল (৪১), নগরীর কাজিরবাজার এলাকার ধোপাবাড়ির শুক্কুর মিয়ার পুত্র মো. বাদশা (২৬), কুয়ারপাড়া এলাকার ৬৯ নং বাসার মৃত আজিজের পুত্র জাহেদ (৫০), একই এলাকার ১২ নং বাসার নূর মিয়ার পুত্র লিটন মিয়া (৩০), ১৯ নং বাসার মৃত আব্বাস আলীর পুত্র মো. শিরু মিয়া (৫৫), মনি মিয়ার বাসার মৃত জায়েদ আলীর পুত্র মো. খলিল মিয়া (৫২) এবং ১১৭ নং বাসার মো. খোর্শিদ আলমের পুত্র রাদেল আহমদ (২২)।
এদিকে, জালালাবাদ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। গত শনিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে জালালাবাদ থানার নাজিরেরগাঁও পয়েন্ট থেকে টিলারগাঁও’র মৃত আশিক আলীর পুত্র মঈনুল আহমদ (২৮) এবং নগরীর শাহজালাল উপশহরের ব্লক-বি, রোড ১৩ ও বাসা ৩৭ এর বাসিন্দা তারেক মিয়ার পুত্র তুষার হাসানকে (২০) গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও মাদকদ্রব্য বিক্রির ৭শ’ টাকা জব্দ করা হয়।
অপরদিকে, এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার রাত সন্ধ্যা ৭টার দিকে এয়ারপোর্ট থানার তাঁরাপুর চা-বাগান থেকে জালালাবাদ থানায় দায়েরকৃত মামলার ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি লাল মিয়াকে (৪২) গ্রেফতার করে পুলিশ। লাল মিয়া নগরীর পাঠানটুলা বাসিন্দা (লন্ডনি টিলার ময়না ড্রাইভারের ভাড়াটিয়া) আলী হোসেনের পুত্র। গ্রেফতারকৃত সবাইকে গতকাল রবিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।