স্টাফ রিপোর্টার :
বিশ্বনাথ ও বিয়ানীবাজার থেকে পৃথক অভিযান চালিয়ে শিশু এবং গৃহবধূ ধর্ষণের দায়েরকৃত পৃথক মামলার ২ পলাতক ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯’র সদস্যরা। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, আবু বক্কর (৫০)। সে বিশ্বনাথের লামাকাজি ইউনিয়নের সৎপুরের বাসিন্দা এবং কানাইঘাট থানার ব্রাহ্মণগ্রামের আলতাব আলী আলতাইয়ের পুত্র মুক্তার হোসেন (২৪)। গত রবিবার রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, গত ২৮ জুন দুঃসম্পর্কের নানা আবু বক্কর ১০ বছর বয়সী এক শিশুটিকে ধর্ষণ করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়। শিশুটিকে উদ্ধার করে তার বাবা ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় গত ২৯ জুন শিশুটির বাবা দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা করেন। ধর্ষক আবু বক্কর পলাতক ছিলো। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার রাত সোয়া ১০ টার দিকে বিশ্বনাথ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে, র্যাব-৯’র অপর একটি দল গত রবিবার দিবাগত রাতে বিয়ানীবাজার থানার কাকুরা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে থেকে কানাইঘাট উপজেলার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নে অস্ত্রের মুখে গৃহবধূ (২২) ধর্ষণের দায়েরকৃত মামলায় মুক্তার হোসেনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গতকাল সোমবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র্যাব।
এর আগে, এ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদকে (২৫) গোয়াইনঘাট উপজেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সে কানাইঘাটের ব্রাহ্মণগ্রামের নূর উদ্দিনের পুত্র। ওইদিন জেলে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
র্যাব জানায়, গত ২ জুলাই বাড়িতে একা থাকায় ওই গৃহবধুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পালাক্রমে গণধর্ষণ করেন আজাদ ও মুক্তার। পরে ঘরে থাকা নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান তারা। ভিকটিমের কান্নাকাটি শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারে ভর্তি করেন। ওই গৃহবধূ ৫ জুলাই কানাইঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় আজাদ ও মুক্তারকে আসামি করা হয়। মামলার দিনই পুলিশ আবুল কালাম আজাদকে গ্রেফতার করে। আর রবিবার দিবাগত রাতে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হলো মুক্তার হোসেন।
র্যাব-৯ এর এএসপি ওবানই জানান, গ্রেফতারকৃত মুক্তার হোসেনকে কানাইঘাট থানায় এবং আবু বক্করকে দক্ষিণ সুরমা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।