৫ মিনিটের মধ্যে জিডি নেবেন অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা —-পুলিশ সুপার

97

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট থানা পুলিশের উদ্যোগে জন সচেতনতামূলক এক সুধী সমাবেশ গতকাল রবিবার বিকেল ৩ টায় পৌর শহরস্থ ইউনিক কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সূধী সমাবেশে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে সিলেট জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম বলেন, আইন শৃঙ্খলার উন্নয়ন সহ সকল ক্ষেত্রে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের মধ্যেও ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে মাদক, ইভটিজিং, জঙ্গিবাদ, নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে জিরো টলারেন্স গ্রহণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই প্রতিশ্র“তি বাস্তবায়নে আমি সিলেটে যোগদান করার পর থেকে প্রতিটি থানা এলাকায় ছুটে যাচ্ছি এবং জনসাধারণ থানা থেকে যাতে করে দ্রুত সব ধরনের আইনি সহায়তা সহজে পেতে পারেন, এ জন্য সবাইকে নিয়ে সূধী সমাবেশে মিলিত হচ্ছি। তিনি আরো বলেন, আমি সিলেটে পূর্বে কর্মরত ছিলাম। এখানকার মানুষের সাথে আমার জানা শুনা ও গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আমার প্রতিজ্ঞা,সিলেট জেলার প্রতিটি থানা হবে নির্যাতিত, নিপীড়িত, অসহায় মানুষের আশ্রয়স্থল। মানুষ থানায় ছুটে আসার পর যাতে করে দ্রুত আইনী সেবা পান এবং থানায় জিডি করতে চাইলে কোন প্রকার অজুহাত সৃষ্টি না করে ৫মিনিটের মধ্যে জিডি করতে হবে। অন্যথায় দায়িত্ব পালনে অবহেলাকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারী দেন তিনি। প্রতিটি থানা দালাল ও টাউট মুক্ত করারও ঘোষণা দেন তিনি। পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন আরো বলেন, কানাইঘাট হচ্ছে আলিম-উলামা অধ্যুষিত একটি জনপদ। সিলেটের উত্তর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ের স্মৃতিচারণ করে বলেন, কানাইঘাটের প্রতিটি গ্রাম ও পাড়া, মহল্লায় আমি ঘুরে বেড়িয়েছি। সেই সুবাধে অনেকের সাথে আমার সম্পর্ক রয়েছে। সকলের সুপরামর্শ ক্রমে কানাইঘাটের সার্বিক আইন শৃংখলার উন্নয়ন ও এলাকায় শান্তি,সম্প্রীতি বজায় রাখতে পুলিশ কাজ করে যাবে। এজন্য তিনি সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন। পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন বলেন, থানায় জমিজমা, মারামারি সহ যে কোন বিষয় সত্যিকার অর্থে কেউ সেবা নিতে আসলে তাদের মামলা গ্রহণ করা না হলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সেই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন রিপোর্ট পেতে কোন ধরনের হয়রানী হলে তাকে জানাতে বলেন এবং চোরাচালানের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কানাইঘাট থানা পুলিশকে নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি। এ সময় তিনি বেশ ক’জন ভুক্তভোগীর বক্তব্য শুনেন এবং প্রতিকারের আশ্বাস প্রদান করে বলেন,আপনাদের অভিযোগ শোনার জন্য এখানে এসেছি। কোন পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে আমার কাছে নির্ভয়ে বলুন। কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আহাদের সভাপতিত্বে ও থানা সাব-ইন্সপেক্টর মাইনুল ইসলামের পরিচালনায় সূধী সমাবেশে সার্বিক আইন শৃংখলার উন্নয়নে নানা ধরনের অভিমত ব্যক্ত করে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মুমিন চোধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সাবেক পৌর মেয়র লুৎফুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, কানাইঘাট পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন, সিলেট প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও কানাইঘাট প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম.এ হান্নান, পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল্লাহ শাকির, দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ আহমদ, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মামুন রশিদ, দীঘিরপার ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন কাজল, লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমদ চৌধুরী, রিংকু চক্রবর্তী, উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নাজমুল হক, কানাইঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি রোটারিয়ান শাহজাহান সেলিম বুলবুল, সিলেট শাবিপ্রবি’র কলেজ পরিদর্শক তাজিম উদ্দিন, কানাইঘাট বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হেকিম শামীম, মাওলানা ক্বারী হারুনুর রশিদ চতুলী, ইউপি সদস্য সেলিম চৌধুরী, ইউপি সদস্য কয়েছ আহমদ, পুলিশের কন্সটেবল পদে নিয়োগপ্রাপ্ত ইমরান হোসেনের মা আনোয়ারা বেগম। সুধী সমাবেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সদস্য, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।