করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ ছুটি শেষে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসছে। স্বাস্থ্যবিধি মানা সাপেক্ষে শুরু হয়েছে গণপরিবহন চলাচল। খুলেছে মার্কেট, দোকান-পাট। কিন্তু সবখানে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। নাগরিকদের মধ্যে মাস্ক, গ্লাভস পরার প্রবণতাও খুবই কম।
সোমবার সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেট মো. জসীম উদ্দিন নগরীর দক্ষিণ সুরমার বাবনা পয়েন্টে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এক মোটরসাইকেল আরোহীকে অর্থদন্ড প্রদান করেন আদালত। সচেতনতামূলক নির্দেশনা দেন গণপরিবহনের চালক, সহকারী ও যাত্রীদের।
সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে সিসিক নিয়মিতভাবে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে বলেও জানান তিনি। এজন্য সবাইকে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়।
সিলেট সিটি করপোরেশনের সচিব ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সিলেট সিটি করপোরেশন নানামুখি উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক, গ্লাভস পরা, সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার নির্দেশনা মেনে চলতে আহবান জানানো হচ্ছে।
গণপরিবহন করোনার সংক্রমণের জন্য খুবই সহায়ক স্থান উল্লেখ করে সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারের যুগ্ম সচিব বিধায়ক রায় চৌধুরী বলেন, সংক্রমণ ঠেকাতে এসব স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা আবশ্যক। মার্কেট, দোকান-পাট সহ সর্বত্র সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
সিলেটে দিন দিন করোনার সংক্রমণ বাড়ছে উল্লেখ করে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী- জীবনের ঝুঁকি বিবেচনায় নগরবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান। নাগরিকদের সচেতনতা বাড়াতে সরকার কর্তৃক নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনা সমূহ প্রচার করা হচ্ছে। মাইকিং, লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। নগরবাসীকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আহবান জানান তিনি। বিজ্ঞপ্তি