স্টাফ রিপোর্টার :
শহরতলীর খাদিমনগর ইউনিয়নের সাহেববাজার ফড়িংউড়া গ্রামে চাচার ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত আল আমিন (২৭) মারা গেছেন। গতকাল সোমবার ভোরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আল আমিন ফরিংউড়া গ্রামের মুসা মিয়ার পুত্র। এর আগে রবিবার দুপুরে তিনি হামলার শিকার হন। অভিযোগ রয়েছে আপন চাচা ইলিয়াস এর ছুরিকাঘাতে তিনি গুরুতর আহত হন। ঘটনার পর থেকে ইলিয়াস ও তার সহযোগীরা পলাতক রয়েছে।
এদিকে গতকাল সোমবার নিহতের স্ত্রী বাদি হয়ে ইলিয়াস মিয়া ও হেলালসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞানামা আরো কয়েকজনকে আসামী করে এয়ারপোর্ট থানায় একটি হত্যা মামলা (২-নং) দায়ের করেন। এছাড়া গতকাল দুপুরে ময়না তদন্ত শেষে নিহতের লাশ তার আত্মীয় স্বজনের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এয়ারপোর্ট থানার ওসি শাহাদৎ হোসেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানার (সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ) বাইপাস থেকে গতকাল সোমবার বিকেলে মামলার ৮ নং এজাহারনামীয় আসামী ও নিহতের চাচী সুজিনা বেগমকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়। সে এয়ারপোর্ট থানার ফড়িংউড়া গ্রামের ইলিয়াছ আলীর স্ত্রী।
নিহতের বাবা মুসা মিয়া জানান, সম্পত্তি নিয়ে আপন ভাই ইলিয়াস মিয়ার সাথে তার বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে রবিবার দুপুরে তার পুত্র আল আমিন এর উপর হামলা চালায় ইলিয়াস। এসময় তার সাথে হেলাল, সহ আরো কয়েকজন সহযোগী ছিল। তখন প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করা হয় আল আমিনকে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল সোমবার ভোর ৪ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আল আমিনের মৃত্যু হয়।
আল আমিন ফিজা এন্ড কোং এর একটি শো রুমে কাজ করতেন। লকডাউনের ছুটিতে বাড়িতে অবস্থানকালে নিজেদের সিএনজি অটোরিকশা চালাতেন। আল আমিন বিবাহিত। ১ বছরের একটি কন্যা সন্তান ও রয়েছে। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহাদাৎ হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় তার স্ত্রী মামলা দিয়েছেন। মামলার আসামীরা বর্তমানে পালাতক রয়েছে। আমরা আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছি। এছাড়া তদন্তে মূল ঘটনা বের হয়ে আসবে বলে জানান তিনি।