গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জে একই দিনে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দুপুর ১টার দিকে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার সম্মুখে বিনাময় এ নামীয় এ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় মারা গেছেন এক মোটর সাইকেল আরোহী। নিহত ব্যক্তি পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ইউসুফ আলীর পুত্র কামরুল হাসান মিন্টু (৩০)। এ সময় দ্রুতগামী এ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মিন্টুর মৃত্যু হয়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় লাশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তিনি পৌর এলাকার লেক ভিউ ক্লিনিকে চাকুরীরত ছিলেন।
জানা যায়, মোটর সাইকেল (সিলেট মেট্টো-হ-১১-৪২১০) আরোহী পৌর সদরের দিকে যাচ্ছিলেন। থানা সম্মুখে আসামাত্র একজন পথচারী রাস্তা পারাপারের জন্য দৌড় দিলে কামরুল মোটর সাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারান। এসময় তিনি ছিটকে পড়লে সিলেটমুখী এ্যাম্বুলেন্স (ঢাকা মেট্টো-চ-১৫৫৮৬২) চাকায় পৃষ্ট হন।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া এ্যাম্বুলেন্স ও মোটর সাইকেল থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
নিহত মিন্টু ৬ ভাই বোনের মধ্যে সে তৃতীয়। ২ ভাইয়ের মধ্যে সে দ্বিতীয়। বড় ভাই ফ্রান্স প্রবাসী বলে জানা যায়।
এদিকে নিহত মিন্টুর বাড়িতে গেলে দেখা যায়, এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের। ছেলে শোকে মা পাগলপারা। মাকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা কেউ খুঁজে পাচ্ছেন না। তাঁর আর্তনাদে সবার অশ্র“সজল নয়ন। বাবা ইউছুফ আলী হার্টের রোগী। ছেলে মৃত্যুর খবর তাঁকে বলা হয়নি। বলা হয়েছে ছেলের সামান্য যখম হয়েছে। হসপিটাল থেকে সবাই নিয়ে আসছে। ছেলে মৃত্যুর খবর বাবা পেয়ে যাবেন বলে নিকআত্মীয়রা প্রতিবেশীদেও বাড়িতে না যাওয়ার অনুরোদ করলে প্রতিবেশীরা বাড়ির চার পাশে ঝটলা বেঁধে আছেন কখন নিয়ে আসা হবে প্রিয় মিন্টুর লাশ।
অপরদিকে গোলাপগঞ্জ ভায়া ঢাকাদক্ষিণ-ভাদেশ্বর সড়কের দত্তরাইল মহিলা মাদ্রাসার সম্মুখে শিশু শ্রেণীর মাদ্রাসা পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী নাম্বার বিহীন সিএনজি অটোরিক্সা ধাক্কায় গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা সিএনজি অটোরিক্সা চালকসহ আটক ও আহত শিক্ষার্থীকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউপির রায়গড় গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের পুত্র রিফাত আহমদ (৮)।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা জমির উদ্দিন জানান, মাদ্রাসার সম্মুখে সড়ক গতিরোধক থাকাসত্বেও চালকদের বেপরোয়ার জন্য প্রতিনিয়ত ঘটনা ঘটছে। রাস্তা ফাঁকা থাকলেও সিএনজি অটোরিক্সা চালক ফোনে কথা বলছিলেন। তার অদক্ষতার কারণে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। মাদ্রাসার ছাত্র একজন দিনমজুর রিক্সা চালকের পুত্র। আহত রিফাতের হাত ও পায়ের হাড় ভেঙে গেছে।