কাজিরবাজার ডেস্ক :
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশন এবং সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ (সিএএবি)-এর উদ্যোগে মালয়েশিয়ায় আটকা পড়ে থাকা ১৬০ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের সহযোগী প্রতিষ্ঠান- জিডি অ্যাসিস্ট।
বুধবার (১৩ মে) দুপুরে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, চলমান করোনা মহামারিতে মালয়েশিয়াতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের এটিই প্রথম এবং বৃহত্তম প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া। একটি মরদেহসহ ১৬০ জন বাংলাদেশিকে নিয়ে একটি বিমান গতকাল দুপুরে ঢাকায় পৌঁছেছে।
আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে নিয়ে আসা চার্টার্ড ফ্লাইটটি দুপুর ১২টায় হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। গত মাসে জিডি অ্যাসিস্টের সহযোগিতায় ব্যাংকক থেকে ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশিদের মতো এবারের ফ্লাইটেও ১৬০ জন বাংলাদেশির সাথে একটি মরদেহ এসেছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মালয়েশিয়ায় আটকা থাকা বাংলাদেশিরা দেশে ফেরত আসার জন্য মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশনের সাথে যোগাযোগ করে। জিডি অ্যাসিস্ট মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশের হাই কমিশনের মাধ্যমে এই বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করে। আর ঠিক আগের বারের মতোই, বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় অনুমতি পাওয়ার জন্য জিডি অ্যাসিস্ট ভূমিকা পালন করে।
জিডি অ্যাসিস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মঈনউদ্দীন আহমেদ বলেন, জিডি অ্যাসিস্ট গর্বিত যে এই করোনা-বিড়ম্বনার সময়কালে আটকা থাকা বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। আটকে পড়া দেশবাসীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় অনুমোদনের পরে জিডি অ্যাসিস্ট কুয়ালালামপুরের দুইটি বিখ্যাত হাসপাতালে সমস্ত যাত্রীদের কোভিড-১৯ স্ক্রিনিং পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেছে।
বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের তাৎক্ষণিক সমর্থন ও সহায়তার জন্য, বিশেষ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এমওএফএ), মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাই কমিশন, এবং সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষকে (সিএএবি) তিনি ধন্যবাদ জানান।
গ্রীন ডেল্টা ইনস্যুরেন্সের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জিডি অ্যাসিস্ট বাংলাদেশের বৃহত্তম স্বাস্থ্যসেবা পরিচালনা সংস্থা। সংস্থাটি বাংলাদেশে মেডিকেল ট্যুরিজম নিয়ে কাজ করছে।