শিপন আহমদ ওসমানীনগর থেকে :
ওসমানীনগরের পশ্চিম পৈলনপুর ইউপির ঈশাগ্রাই গ্রামে প্রতিপক্ষের ছুলফির আঘাতে শিপন মিয়া নামের যুবক খুন হবার ঘটনার ঈশাগ্রাই গ্রামের মৃত দরছ উল্যার পুত্র ইউপি সদস্য জয়নুল হক ধন মিয়াকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে নিহত শিপনের বড় ভাই রিপন মিয়া বাদি হয়ে ধন মেম্বার সহ ২৭জনকে আসামি করে ওসমানীনগর থানায় হত্যা (মামলা নং-০২) দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এজাহারভূক্ত ৮ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, ঈশাগ্রাই গ্রামের মৃত রহিম উল্যার ছেলে আলা মিয়া(৬০), একই গ্রামের মৃত তার ভাই আব্দুল হেকিম(৭৫), মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে শফিক মিয়া(৫০), শফিক মিয়ার ছেলে আব্দুল কাইয়ুম(১৮), আব্দুল শহিদ(২৫), মৃত গেদা মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া(৩৫) এবং উমরপুর ইউপির লামা উসবপুর গ্রামের মৃত ছানা মিয়ার ছেলে জুবায়ের আহমদ। গ্রেফতারকৃতদের আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে নিহত শিপনের লাশের ময়না তদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের নিক হস্তান্তর করেছে পুলিশ। রাত সাড়ে ৭টায় ঈশাগ্রাই গ্রামের নিজ বাড়িতে নামাজে জানাযা শেষে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে শিপনের লাশ দাফন করা হবে।
মামলার বাদি নিহত শিপনের বড় ভাই রিপন মিয়া বলেন, ধন মেম্বার আমার ভাইকে খুন করল এখন উল্টো তাদের লোকজন নিজেদের বাড়ি ঘর বাংচুর করে আমাদের উপর সাজানো লুটপাটের মামলা করার চেষ্টা করছে। এ ঘটনাটি আমি ওসমানীনগর থানার ওসি রাশেদ মোবারক, আমাদের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন গেদাই ও পাশর্^বর্তী গ্রামের মানুষকে অবহিত করে দেখিয়েছি। ইউপি চেয়ারম্যান নিজেই খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে এসে আসামি পক্ষের মহিলাদের কর্মকান্ড ছবি ও ভিডিও করে গেছেন।
পশ্চিম পৈলনপুর ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল হাফিজ এ মতিন গেদাই বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে আমি নিজে গিয়ে দেখেছি আসামি পক্ষের লোকজন তাদের নিজের মালপত্র নিয়ে যাচ্ছে। তারা আমাকে জানিয়েছে নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে তারা তাদের মালপত্র নিয়ে যাচ্ছে, আমিও আসামি পক্ষের মহিলাদের বলেছি তোমাদের নিরাপত্তা যেখানে পাবে সেখানেই মালপত্র নিয়ে যাও।
ওসমানীনগর থানার ওসি রাশেদ মোবারক বলেন, ঈশাগ্রাই গ্রামে শিপন হত্যার ঘটনায় তার ভাই রিপন মিয়া বাদি হয়ে ধন মেম্বারকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া ৮ আসামিকে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ধন মেম্বার সহ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।