কাজিরবাজার ডেস্ক :
ই-কমার্স খাতের অন্তত ২৬ প্রতিষ্ঠান লোভনীয় অফার দিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকা সংগ্রহ করলেও পণ্য সরবরাহ করেনি। অধিকাংশ কোম্পানির টাকার হদিসও নেই। এমনকি মার্চেন্টদের থেকে পণ্য এনে সেই টাকাও তারা পরিশোধ করেনি। প্রতারণায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সাধারণ গ্রাহক। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও ই-কমার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা (ই-ক্যাব)’র তদন্তে এ চিত্র উঠে এসেছে। প্রশ্ন উঠেছে, কোথায় গেল এত টাকা। এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সম্প্রতি এসপিসি ওয়ার্ল্ড ও ধামাকা শপিং নামের দুটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেনের তদন্ত করতে গিয়ে মানি লন্ডারিংয়ের প্রমাণ পায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। পরে প্রতিষ্ঠান দুটির বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা করে সিআইডি। যদিও গত জুলাই মাসে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন ধামাকা শপিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিম উদ্দিন চিশতি। আত্মগোপনে রয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানসহ একাধিক কর্মকর্তা। সম্প্রতি ৪৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আটক করা হয়েছে ই-অরেঞ্জের একাধিক কর্মকর্তাকে। সাম্প্রতিক সবচেয়ে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এরপর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন অন্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, অর্ধেক দামে পণ্য দেয়ার নামে সহস্রাধিক ক্রেতার কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা সংগ্রহ করে পণ্য দেয়া হচ্ছে ২০-৩০ জনকে। সেই পণ্য হস্তান্তরের বিষয়টি ফলাও করে প্রচার করে আবারও টাকা সংগ্রহ করা হচ্ছে হাজার হাজার ক্রেতা থেকে। ফের পণ্য দেয়া হচ্ছে ২০-৩০ জনকে। দ্রুত বড় অঙ্কের টাকা সংগ্রহে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকারের মতো দামী পণ্যে দেয়া হচ্ছে সর্বাধিক ছাড়। এভাবে দফায় দফায় লাখো ক্রেতার কাছ থেকে হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করে পাচার করে দেয়া হচ্ছে দেশের বাইরে। সংগৃহীত টাকার একটা অংশ সরিয়ে ফেলা হচ্ছে নিজেদের অন্য ব্যবসায় বা ব্যক্তিগত এ্যাকাউন্টে। নিজের ও স্বজনের নামে কিনছেন আলিশান বাড়ি, দামী ব্র্যান্ডের গাড়ি। এমনসব প্রতারণা ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে বর্তমানে ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা শপিং, কিউকম, এসপিসি ওয়ার্ল্ড, বুমবুম, আদিয়ান মার্ট, নিডস, দালাল, সিরাজগঞ্জ শপ, নিরাপদ ডটকম, আলাদিনের প্রদীপ, এসকে ট্রেডার্স ও মোটরস, ২৪টিকেট ডটকম, গ্রিনবাংলা, এক্সিলেন্টবিগবাজার, ফাল্গুনিশপসহ ২৬টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুদক, পুলিশ, র্যাব, সিআইডিসহ সরকারের অন্তত নয়টি সংস্থা। জানতে চাইলে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (ফাইন্যানসিয়াল ক্রাইম) মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, ইতোমধ্যে আমরা এসপিসি ওয়ার্ল্ড ও ধামাকা শপিংয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত করে মানি লন্ডারিংয়ের তথ্য পেয়ে মামলা করেছি। প্রাথমিক তদন্তে ধামাকা শপিংয়ের বিরুদ্ধে ৮৯ কোটি টাকা লন্ডারের তথ্য পাই। আরও টাকা তারা ভিন্ন ব্যাংক এ্যাকাউন্ট ও নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করেছে। আইনানুযায়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য ছাড়া কেউ টাকা স্থানান্তর করতে পারে না।
সূত্র মতে, অভিযুক্ত বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ কয়েক হাজার কোটি টাকার। এরমধ্যে ই-কমার্সের নামে প্রতারণার অভিযোগে দেশে প্রথম আলোচিত কোম্পানি ইভ্যালি। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছ থেকে অন্তত ১ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পণ্য সরবরাহ না করার তথ্য দিয়েছে র্যাব। শুক্রবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি। র্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে ইভ্যালির সিইও মোঃ রাসেল জানিয়েছেন, তার দেনা এখন হাজার কোটি টাকার বেশি। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে লোকসানি এ কোম্পানিটি কোন ব্যবসায়িক লাভ করতে পারেনি। গ্রাহকের অর্থ দিয়েই যাবতীয় ব্যয় ও খরচ নির্বাহ করায় দেনা বরাবর বেড়েছে। ইভ্যালির বিভিন্ন ব্যাংক এ্যাকাউন্টে বর্তমানে প্রায় ৩০ লাখ টাকা রয়েছে। এছাড়া কয়েকটি গেটওয়েতে গ্রাহকের ৩০-৩৫ কোটি টাকা আটক হয়ে আছে, ওই অর্থ কোম্পানির নয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ইভ্যালির সিইও মোঃ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা হয়। পরে ওইদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব সদও দফতরে নেয়া হয়।
সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক হাফিজুর রহমানের দফতরে ইভ্যালির পাঠানো চিঠিতে দেখা যায়, গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির চলতি দায় ৫৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে মার্চেন্ট বা পণ্য সরবরাহকারীরাই পাবেন ২০৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আর গ্রাহকদের পাওনা ৩১১ কোটি টাকা। এ রকম আরও দুটি প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ ও ধামাকা শপিংয়ের বিরুদ্ধেও একই রকম অভিযোগ ওঠে। ই-অরেঞ্জের শীর্ষ পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজধানীর শিল্পাঞ্চল থানায় ৬৬৩ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা হয়। আবার প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ৩৭ গ্রাহকের পক্ষে গত ১৬ আগস্ট ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় মামলা করেন তাহেরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, প্রায় ১ লাখ ক্রেতার কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের পণ্য দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। ১৫ দিনের মধ্যে টাকা দ্বিগুণ হওয়া এবং সেই টাকা দিয়ে ওয়েবসাইট থেকে কম দামে পণ্য কেনার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে। এক পর্যায়ে মালিকানা হস্তান্তর করে বিদেশে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন ই-অরেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান। কিন্তু ১৮ আগস্ট ই-অরেঞ্জের দুই প্রাক্তন মালিকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে ঢাকার একটি আদালত। সোনিয়া ও মাসুকুর দম্পতি মামলায় জামিন চেয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। গত ৪ সেপ্টেম্বর ই-অরেঞ্জের কথিত পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানাকে ভারত- নেপাল সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। ধামাকা শপিংয়ের বিরুদ্ধে ৫ লাখ গ্রাহকের ৮০৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা ও সরবরাহকারীর ২০০ কোটি মিলে ১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে দুই মাস অনুসন্ধান করে অন্তত ৮৯ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের প্রমাণ পায় সিআইডি। গত জুলাই মাসে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন ধামাকা শপিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিম উদ্দিন চিশতি, তার স্ত্রী ও সন্তানরা। আত্মগোপনে রয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সিআইডির অনুসন্ধানে দেখা যায়, ‘ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড’ এর নামে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে গত বছরের অক্টোবরে ‘ধামাকা শপিং’ নামে ই-কমার্স ব্যবসা চালু করে প্রতিষ্ঠানটি। স্বল্পমূল্যে মোটরসাইকেল, রেফ্রিজারেটরসহ নানা পণ্যের প্রলোভন দেখিয়ে তিন ব্যাংকের এ্যাকাউন্টে ৮০৩ কোটি ৫১ লাখ ৯১ হাজার ৩৬৩ টাকা নেয়া হয়। শুরুতে কিছু গ্রাহককে পণ্য দিলেও পরে পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এ ছাড়া প্রায় ৬০০ সরবরাহকারীর অন্তত ২০০ কোটি টাকার পণ্য নিয়েও কোন মূল্য পরিশোধ করেনি। গত সপ্তাহে ইনভেরিয়েন্ট টেলিকমের এমডিসহ ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করে সিআইডি। এসপিসি ওয়ার্ল্ডের বিরুদ্ধেও ই-কমার্সের আড়ালে মানি লন্ডারিংয়ের প্রমাণ পেয়ে মামলা করেছে সিআইডি। কিউকম অনলাইন শপিং মলের বিরুদ্ধে মোটরসাইকেলের বাম্পার অফার দিয়ে বিপুল পরিমাণে অর্থ সংগ্রহ করে পণ্য না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ করেন শতাধিক গ্রাহক, যার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে অনলাইনে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতারণার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে ‘কিউকম ভুক্তভোগী গ্রাহক গোষ্ঠী’ নামে ফেসবুকে একটি গ্রুপ পেজও তৈরি হয়েছে। তবে একের পর এক প্রতারণার ঘটনা সামনে এলেও হচ্ছে না প্রতিকার। বড় বড় প্রতিষ্ঠানের বাইরে দেশব্যাপী কাজ করছে এ রকম কয়েক হাজার ছোট প্রতিষ্ঠান। ফেসবুক, ইউটিউব ছাড়া নিজেদের এ্যাপস, ওয়েবসাইট খুলে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সাইক্লোন, ডাবল ভাউচার, সিগনেচার কার্ড, বিগ বিলিয়ন রিটার্নসসহ চটকদার নানা অফার দিয়ে গ্রাহককে লোভে ফেলেছে এসব প্রতারক প্রতিষ্ঠান। ৫০০ টাকার গ্রসারি পণ্যে ১০-১৫ শতাংশ ছাড় দিলেও দ্রুত অর্থ সংগ্রহে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, ফার্নিচারের মতো দামী পণ্যে দেয়া হয়েছে ৭০ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। অল্প সময়ে অস্বাভাবিক লাভের আশায় মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। সঞ্চয় ভেঙে টাকা জমা দিয়েছে ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানের এ্যাকাউন্টে। হাতে গোনা কিছু মানুষ পণ্য বা টাকা ফেরত পেলেও অধিকাংশ ক্রেতাই হয়েছেন প্রতারিত। এ ব্যাপারে ই-কমার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা ইক্যাবের ভূমিকা জানতে চাইলে সংগঠনটির সহসভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন বলেন, আমরা আগে থেকেই অভিযুক্ত ১৭টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করছিলাম। সম্প্রতি আরও ৯টি যোগ হয়েছে। এগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। কেউ কেউ সময় চেয়েছে গ্রাহকের টাকা ফেরত বা পণ্য সরবরাহের জন্য। আমরা আইনী প্রক্রিয়ায় এগোচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা ই-অরেঞ্জ, ২৪টিকেট.কম, গ্রিনবাংলা ও এক্সিলেন্ট ওয়ার্ল্ড এগ্রোফুড এ্যান্ড কনজুমার লিমিটেডের সদস্য পদ স্থগিত করেছি। তবে আমরা শুধু সতর্ক করা, সদস্যপদ স্থগিত বা বাতিল করতে পারি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক হাফিজুর রহমান বলেন, নীতিমালা করা হয়েছে। তবে এটা কেউ অমান্য করছে কিনা সেটা নজরদারি করা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে কঠিন। এ জন্য ই-ক্যাবকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা ব্যবস্থা নেব। এ ছাড়া মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়টি দেখবে দুদক, বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর এ্যাকাউন্টে টাকা নেই। গ্রাহক কীভাবে টাকা ফেরত পাবে এমন প্রশ্নে হাফিজুর রহমান বলেন, টাকা থাকলে গ্রাহক অবশ্যই ফেরত পাবে। না থাকলে কীভাবে পাবে? ইভ্যালি সব দেনা শোধ করতে পাঁচ মাস সময় চেয়েছে। বন্ধ করে দিলে গ্রাহকের শেষ আশাটুকু শেষ হয়ে যাবে। এ জন্য কিছুটা সময় দিয়ে দেখা যায়। এরপরও টাকা ফেরত বা পণ্য দিতে না পারলে মামলা হবে। জেল হবে। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপারে করণীয় ঠিক করতে চলতি সপ্তাহে একটা বৈঠক আছে বলে জানান তিনি।
ভোক্তা অধিকারে ১৩ হাজার অভিযোগ : জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে (ক্যাব) প্রতিদিনই শত শত অভিযোগ জমা পড়ছে বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, ২০১৮ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত ১৯টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১৩ হাজার ৩১৭টা অভিযোগ জমা পড়ে ভোক্তা অধিকার অধিদফতরে। প্রতিষ্ঠার ৩ বছর না যেতেই ইভ্যালির বিরুদ্ধে জমা পড়ে ৪ হাজার ৯৩২টি অভিযোগ। সম্প্রতি আলোচনায় আসার আগেই ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে ৩৮টি অভিযোগ জমা পড়েছিল। এরপর কয়েক সপ্তাহে তাদের বিরুদ্ধে সহস্রাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। এ ছাড়া আলেশা মার্ট, ফাল্গুনিশপ, প্রিয়শপ, দারাজ, সহজ ডটকম, আজকের ডিলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়েছে ভোক্তা অধিকারে। বেশিরভাগ অভিযোগ নির্ধারিত সময়ের ২/৩ মাস পরও পণ্য বুঝে না পাওয়া নিয়ে। এর বাইরে ‘চেক ডিজঅনার’ হওয়া, ‘রিফান্ডের’ টাকা ফেরত না পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে।