কাজিরবাজার ডেস্ক :
শ্রমঘন এবং করোনা ভাইরাসের বেশি সংক্রমিত ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরফেরত গার্মেন্টসকর্মীদের তালিকা তৈরি করে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৭ মে) গার্মেন্টসকর্মীদের ঠিকানা ও যোগাযোগের নম্বরসহ তালিকা প্রণয়ন করে নিজ নিজ বাড়িতে ১৪ দিন রাখার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও সিভিল সার্জনদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে জেলার গার্মেন্টসকর্মীদের নামের তালিকা প্রণয়ন করে (ঠিকানা ও যোগাযোগের নম্বরসহ) সংরক্ষণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জন এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবেন।
‘ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরফেরত গার্মেন্টসকর্মীদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।’
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় গত ৩ মে (রোববার) সচিবালয়ে ‘করোনা পরিস্থিতিতে শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালু রাখা’ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
ওই সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকা উভয়ই ঠিক রাখতে হবে। শিল্প, কল-কারখানা বিশেষত তৈরি পোশাকখাত দীর্ঘদিন বন্ধ রাখা হলে এ শিল্প বিশ্ব বাজার হারাতে পারে। এতে দেশের ভবিষ্যত অর্থনীতির জন্য হুমকি হতে পারে।
‘অন্যদিকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করোনার এ দুঃসময়ে মানুষের জানমালেরও ক্ষতি হতে পারে। একারণে সবাইকে একদিকে যেমন স্বাস্থ্যবিধির দিকে মনোযোগ দিতে হবে, অন্যদিকে অর্থনীতিরও বড় কোনো ক্ষতি হতে দেওয়া যাবে না।’
সভায় তৈরি পোশাকখাত চালু রাখতে স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বেশকিছু নির্দেশনা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
নির্দেশনাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও পোশাকখাতের নেতাদের সঙ্গে একটি আলাদা সমন্বয় কমিটি থাকবে। এ কমিটি পোশাকখাতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি-না তা মনিটরিং করবে।
শ্রমঘন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর তিনটি জোনকে বিচ্ছিন্ন রাখতে হবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এক অঞ্চলের শ্রমিক অন্য অঞ্চলের কল-কারখানায় চলাচল করতে পারবেন না। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর থেকে বাইরের জেলায় কেউ গেলে সেখানেই তাকে হোম কোয়ারেনটাইনে থাকতে হবে।
তৈরি পোশাকখাতের নিজ উদ্যোগে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় রেখে টেস্টিং সুবিধা বাড়াতে হবে। শ্রমিকদের জন্য আলাদা করে কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং শ্রমিকদের থাকা, খাওয়া ও যাতায়াতে স্বাস্থ্য সুবিধা রাখতে হবে। এছাড়া কোনো কারখানায় বেশি মানুষ আক্রান্ত হলে সেই কারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হবে।