রোনালদোর দিন শুরু করার সেরা উপায়

11

স্পোর্টস ডেস্ক :
বাবার বুকের উপর শুয়ে ইভা, মাতেও, অ্যালানা মার্টিনা। পাশে শুয়ে বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজ। শনিবার সকালে পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর এমনই এক আদুরে সেলফি ভাইরাল হল ইন্টারনেটে।
তিন সন্তান ও জর্জিনার সঙ্গে তোলা সেলফি পোস্ট করে ক্যাপশন হিসেবে ক্রিশ্চিয়ানো লিখেছেন, ‘দিন শুরু করার সেরা উপায়’। এর আগে গত সোমবার সন্তানদের সঙ্গে ক্রিশ্চিয়ানোর একটি মজার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল ইন্টারনেটে। ইনস্টাগ্রামে একটি মজার ভিডিও পোস্ট করেছিলেন জুভেন্টাস তারকা। যেখানে ফিটনেস ট্রেনিংয়ের সঙ্গেই অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গিয়েছিল পর্তুগিজ ফুটবলের পোস্টার বয়কে।
ভিডিওতে পরিষ্কার রোনালদোর খুদে সন্তানরা যখনই রোনালদোর ট্রেনিং পন্ড করে দিতে উদ্যত হয়েছে তখনই তাদের এক হাতে তুলে নিয়ে ভার হিসেবে ব্যবহার করছেন প্রাক্তন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। তবে ভিডিওর শুরুতে দুই খুদেকেই রোনালদোর সিট-আপে সাহায্য করতেও দেখা যায়। ইনস্টাগ্রামে ভিডিওটির ক্যাপশন হিসেবে লেখেন, ‘বাচ্চারা বাবাকে তাঁর কাজ করতে দাও।’
এরপরেও একাধিক ভিডিওর মাধ্যমে অনুরাগীদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করেছেন রোনাল্ডো। বান্ধবীর সঙ্গে রোনালদোর জগিং সেশনের একটি ভিডিও দিনকয়েক আগে ভাইরাল হয় ইন্টারনেটে।
করোনার জেরে বন্ধ ফুটবল। পিছিয়ে গিয়েছে ইউরো ২০২০। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে আপাতত চার সন্তান ও জর্জিনার সঙ্গে মাদেইরাতে নিজ বাসভবনে গৃহবন্দি রোনাল্ডো। এরই মধ্যে গত শনিবার মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে দু’টি ছবি পোস্ট করেন জুভেন্টাস তারকা। যেখানে দুটি ভিন্ন ছবিতে ক্রিশ্চিয়ানোকে দেখা যাচ্ছে দুটি ভিন্ন দেশের পতাকা আঁকা মাস্ক পরে। প্রথমটি অবশ্যই তাঁর মাতৃভূমি পর্তুগালের আর দ্বিতীয়টি ইতালির। গত মৌসুমের শুরুতেই রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে পাড়ি দিয়েছিলেন তুরিন। তাই জুভেন্টাস তারকার কাছে ইতালি এখন তাঁর দ্বিতীয় ঘরের মতোই।
স্বাভাবিকভাবেই পর্তুগালের পাশাপাশি রোনালদোর মন পড়ে রয়েছে করোনায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ ইতালিতেও। ছবিদু’টি পোস্ট করে ক্রিশ্চিয়ানো এদিন লেখেন, ‘পৃথিবীর এই কঠিন সময়ে আমাদের একতা এবং একে অপরের সাহায্য করা সর্বাগ্রে প্রয়োজন। চলুন সবাই যতটুকু পারি একে অপরকে সাহায্য করি।’ এমনই ক্যাপশনে মুখোশ ব্যবহার করা ও হাল না ছাড়ারও বার্তা দিয়েছেন সিআর সেভেন।
তবে কঠিন সময় আর্ত মানুষের সেবাতেও এগিয়ে এসেছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। পর্তুগালের একাধিক হাসপাতাল জীবনদায়ী সরঞ্জাম কেনার জন্য ১.০৮ মিলিয়ন অর্থ দান করেছেন ক্রিশ্চিয়ানো এবং তাঁর এজেন্ট।