চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধিসহ ন্যায্য দাবিতে চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট জেলা নেতৃবৃন্দ। ২১ আগষ্ট রবিবার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মোমিন ছড়া চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও সিলেট -ভাটের সড়ক অবরোধ কর্মসূচি চলাকালীন সময়ে লিটন মৃধার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সেন্টু মৃধার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আবু জাফর, পঞ্চায়েত কমিটির হৃদয় ছত্রি, মাসুক আহমদ, লতিফ মিয়া, মুক্তা আচার্য। ছাত্র-যুবদের মধ্যে বিশ্ব ছত্রি, সাগর মৃধা, প্রদীপ কর্মকার, বিশ্ব নিরব, সৃজন মৃধা প্রমুখ।
এছাড়াও চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা প্রণব জ্যোতি, জেলা সহ-সভাপতি রত্না বসাক, করোনা কর্মকার, নিপা মোদি, প্রজাপতি দাশ, শিউলি রানি প্রমুখ বিভিন্ন বাগানে চলমান আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন।
চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আবু জাফর বলেন, চা শ্রমিকদের দ্বি-বার্ষিক চুক্তি সম্পাদনে দীর্ঘসূত্রিতার নিন্দা জানিয়ে ও ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং মজুরি বৃদ্ধিসহ চা শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিসমূহ মেনে নিয়ে অবিলম্বে বাস্তবায়নের আহবান জানিয়ে বলেন চা শ্রমিকরা দৈনিক নগদ মজুরি ৩০০ টাকা নির্ধারণসহ ৭ দফা দাবিতে ধর্মঘট পালন করছে। চা শ্রমিকরা যে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তির জন্য আন্দোলন করছে সেই চুক্তির মেয়াদ শুরু হয়েছে ১ লা জানুয়ারী ২০২১ থেকে অর্থাৎ চুক্তির মেয়াদের প্রায় ২০ মাস অতিক্রান্ত হতে চলেছে অথচ এখনো চুক্তিই স্বাক্ষর হয়নি। এর আগে দৈনিক ১২০ টাকা মজুরি নির্ধারণ করে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে “বাংলাদেশ চা সংসদ” ও “বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন” এর মধ্যে ২০১৯-২০ মেয়াদের জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চা শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের কার্যক্রম চলমান অবস্থায় এত কম মজুরিতে চুক্তি করার মাধ্যমে মজুরি বোর্ড কে প্রভাবিত করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। সেই সময়ও চা শ্রমিক ইউনিয়ন ৩০০ টাকা মজুরির দাবি করেছিল। মুদ্রাস্ফীতি, নিত্যপণ্যের মুল্যবৃদ্ধির কারণে টাকার প্রকৃত মূল্য কমে গেলেও চা শ্রমিক ইউনিয়ন এখনো ৩০০ টাকার দাবিতে আটকে আছে।
আবু জাফর, দৈনিক নগদ মজুরি চুক্তি ৩০০টাকার কম হলে তা প্রত্যাখ্যান করার জন্য চা শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানান। বিজ্ঞপ্তি