করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯ মহামারি আকারে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যাও দ্রুত বাড়ছে। এরই মধ্যে এই সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশও করোনার আক্রমণ থেকে মুক্ত নয়। এরই মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৭০-এ পৌঁছেছে এবং মৃত্যু হয়েছে আটজনের। এ অবস্থায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে ঘরের বাইরে না যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু করোনা প্রতিরোধের এই ব্যাপক আয়োজনের মধ্যে অন্যান্য রোগ ব্যবস্থাপনায় আমরা কি প্রয়োজনীয় মনোযোগ দিতে পারছি?
করোনাভীতিতে অনেক বেসরকারি ক্লিনিক বন্ধ হয়ে গেছে, অনেক ক্লিনিক জ্বরের রোগীদের চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করছে। তার ওপর ইনফ্লুয়েঞ্জাজনিত নিউমোনিয়া রোগীর লক্ষণ-উপসর্গ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর অনুরূপ হওয়ায় অনেক চিকিৎসক তাদের চিকিৎসা দিতে ভয় পান অথবা অপারগতা প্রকাশ করেন। করোনা সন্দেহে আইসোলেশনে রাখা কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর দেখা গেছে, অনেক রোগীই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন। স্বজনদের অভিযোগ, প্রায় বিনা চিকিৎসায়ই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে গৃহীত পদক্ষেপ যথার্থ এবং আরো জোরদার করা প্রয়োজন। অন্যান্য রোগব্যাধির ব্যাপক প্রাদুর্ভাব যাতে না হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে,সেই সাথে ভয় করে জয় করেই চিকিৎসকদের সেবা নিশ্চিত করতে হবে।