প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সিলেটে দরিদ্রদের জন্য ১০ লাখ টাকা ও ৪২১ টন চাল বরাদ্দ

9

স্টাফ রিপোর্টার :
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রভাব ফেলেছে জনজীবনে। মহামারি মোকাবিলায় বিমান, বাস, ট্রেন থেকে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
সিলেটসহ সারা দেশের নগর, শহর, বন্দর, গ্রামগঞ্জে চলছে অঘোষিত লকডাউন। মানুষকে ঘরে ফেরাতে সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু তাতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের লোকজন।
কর্মহীন লোকজনের জীবনযাত্রায়ও করোনার রেশ লেগেছে প্রবলভাবে। পেশায় দিনমজুরদের চুলায় বসছে না হাঁড়ি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মানুষকে যেমন ঘরে ফেরাতে কাজ করছে মাঠ প্রশাসন। তেমনি সরকার থেকে আসা সাহায্য নিয়ে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছেন প্রশাসনের লোকজন।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত বুধবার (২৫ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে দরিদ্র মানুষের সহযোগিতায় সিলেটে নগদ ১০ লাখ টাকা ও দুই দফায় ৪২১ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই সহযোগিতার অংশ হিসেবে নগর
অন্তত ২০০ পরিবার এবং উপজেলাগুলোতে শতাধিক পরিবারে সরকারি সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে।
তিনি বলেন, শনিবার (২৮ মার্চ) সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় কর্মহীন দরিদ্র মানুষের কাছে সরকার থেকে দেওয়া সাহায্য স্বরূপ ১০ কেজি চাল ও নগদ টাকা দিয়ে কেনা ৫ কেজি আলু, ২ কেজি ডাল, ১ লিটার তেল ও লবণ, একটি সাবান ও মাস্ক পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
এদিকে শনিবা কোম্পানীগঞ্জের বৃদ্ধদেরও, লাচখাল, কাটালবাড়ি, বাঘারপার, পাড়ুয়া বদিকোনা, ভোলাগঞ্জ গুচ্ছগ্রাম, নয়াগাঙ্গেরপাড় গুচ্ছগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া চাল ও টাকা থেকে ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ২ কেজি ডাল, ১ লিটার তেল, সাবান ও মাস্ক অন্তত ৪০টি পরিবারে বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন আচার্য বলেন, একেবারে দিনমজুর ও খেটে-খাওয়া মানুষের ঘর খুঁজে বের করে তিনি নিজে এসব খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন। যাতে করে মানুষজন ঘরে বসে খেতে পারে।
জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মুক্তিযোদ্ধাদের মাধ্যমে তারা হতদরিদ্র মানুষের তালিকা করে খাবারসামগ্রী নিয়ে সরাসরি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন।