স্পোর্টস ডেস্ক :
করোনা ভাইরাসের প্রকোপে বিশ্বব্যাপি যেখানে সকল আন্তর্জাতিক ক্রীড়াযজ্ঞ স্থগিত হচ্ছে, সেখানে টোকিও অলিম্পিক নিয়েও রয়েছিল শঙ্কা। আয়োজক কমিটির হর্তাকর্তাদের সিদ্ধান্ত না আসায় আসর যথা সময়ে আয়োজনের আশার আলোও নিবু নিবু জ্বলছিল। তবে অবশেষে বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে টোকিও-২০২০ অলিম্পিক গেমস এক বছর পিছিয়ে নিতে সম্মত হয়েছেন আয়োজকরা। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে।
টোকিও অলিম্পিক হওয়ার কথা ছিল এ বছরের ২৪ জুলাই। তবে মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি রাজি হয়েছে টোকিও অলিম্পিক এক বছর পিছিয়ে দেওয়ার।
শিনজো আবে বলেন, ‘টোকিও অলিম্পিক পেছানোর ব্যাপারে আমি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) প্রেসিডেন্ট টমাস বাখকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তিনি ১০০% সম্মত হয়েছেন এ ব্যাপারে।’
কোভিড-১৯ নিয়ে আতঙ্কিত পুরো বিশ্ব। একে একে স্থগিত হয়ে গেছে বিশ্বের বড় বড় ক্রীড়া ইভেন্টগুলোও। তবে নিভু নিভু জ্বলছিল টোকিও অলিম্পিকের আশা। অবশ্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ক্রীড়াযজ্ঞ স্থগিত হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল আগে থেকেই। বাকি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। কারণ কয়েকটি দেশ নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিল আগে।
এর আগে সোমবার (মার্চ ২৩) টোকিও অলিম্পিক সংগঠক কমিটির প্রেসিডেন্ট ইয়োশিরো মোরি সাংবাদ সম্মেলনে এ বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও অলিম্পিক পিছিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। তবে অলিম্পিক যে পিছিয়ে দেওয়া হবে না, সেটাও নিশ্চিত নয়। করোনা ভাইরাসের আক্রমণে পৃথিবীর যা অবস্থা, তার পরে অলিম্পিক নির্ধারিত সময় হবেই, এটা বলার মতো বোকা আমি নই। পিছিয়ে গেলেও অলিম্পিক কোনো ভাবেই বাতিল করা হবে না।’
অলিম্পিকের সময়সূচি যদি না পেছাতো তবে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তো আয়োজক দেশ জাপান। এজন্যই অলিম্পিক পিছিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের জন্য অতিরিক্ত সময় নেয় জাপান এবং আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেও এক সংসদ সম্মলনে বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে পূর্ণাঙ্গ অলিম্পিক যদি করা সম্ভব না হয়, তা হলে গেমস পিছিয়ে দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে বিশ্ব এখন অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুত নয়।’