মৃত্যুর হিসেবে শীর্ষ ১০ দেশ

11

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বৈশ্বিক মহামারি রুপ নেওয়া করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। উন্নত চিকিৎসাসেবার দেশগুলোও থামাতে পারছে না এর মরণ থাবা। গত আড়াই মাসে সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৮ হাজার ৭২০ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৭১ জনের। বর্তমানে রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৯৯ হাজার ৮১৫জন। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক ৯হাজার ৯৪৩জন। মোট আক্রান্তদের মধ্যে ৯৫হাজার ৮৩৪জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন।
সর্বাধিক প্রাণহানি : চীনে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হলেও সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালিতে। ইতালিতে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৮জন চিকিৎসকসহ ৪ হাজার ৮২৫ জন। দেশটির সর্বমোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩ হাজার ৫৭৮ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৬ হাজার ৭২জন। এখন পর্যন্ত ৪২ হাজার ৬৮১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে ২৮৫৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এরই মধ্যে বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধসহ পুরো দেশটি লক ডাউন করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি স্থল ধরা হয় চীনের উহানকে। এখন পর্যন্ত সর্বাধিক আক্রান্ত হয়েছে দেইটির ওই প্রদেশেই। চীনে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৫৪ জন। যা এককভাবে দেশ হিসেবে সর্বাধিক। মৃত্যুর হিসেবে ইতালির পরেই চীনের স্থান।
করোনায় দেশটির ৩ হাজার ২৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গেছেন ৭২ হাজার ৪৪০ জন। বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫ হাজার ৩৫৩ জন। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক ১হাজার ৮৪৫জন।
ইতালি ও চীনের পর করোনায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে আমেরিকার উপর্যুপরি নিষেধাজ্ঞার খড়গে থাকা মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে। ইরানে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৫৫৬জন। মোট আক্রান্ত রোগীর সংখা ২০ হাজার ৬১০ জন। তাদের মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৬৩৫। বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১১ হাজার ৪১৯ জন। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কেউ নেই।
করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুর তালিকার চতুর্থ দেশ স্পেন। স্পেনে করোনায় মারা গেছেন ১ হাজার ৩৮১ জন। দেশটির মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৫ হজার ৪৯৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ১২৫ জন। বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২১ হাজার ৯৯০ জন। এদের মধ্যে ১ হাজার ৬১২জনের অবস্থা আশঙ্কজনক। বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধসহ পুরো দেশটি লক ডাউন করা হয়েছে।
তালিকায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় পাঁচ নম্বর রয়েছে ফ্রান্স। করোনায় দেশটির ৫৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট আক্রান্ত ১৪ হাজার ৪৫৯ জন। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫৮৭ জন। এখনও চিকিৎসাধীন আছেন ১২ হাজার ৩১০ জন। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক ১৫২৫জন। ইতিমধ্যে লকডাউন করা হয়েছে দেশটি। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
করোনায় মৃত্যুহারের দিক থেকে ছয় ও সাত নম্বরে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৯০০ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৩৪৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৭৮ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ২৬ হাজার ৩৭৪ জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৭০৮ জন।
আর যুক্তরাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ১৮ জন। মারা গেছেন ২৩৩জ ন। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৯০৯ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৪৬৯২ জন। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক ২০জন। প্রথমে কয়েকটি রাজ্য লকডাউন করলেও এরই মধ্য এই দেশ দুটি পুরোপুরি লক ডাউন করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এছাড়াও নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ কোরিয়া ও জার্মানিসহ তিনটি দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে যথাক্রমে ১৩৬, ১০৪ ও ৮৪ জনের। এই দেশগুলোর মোট এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩০২৪ জন, ৮৮৯৭ ও ২২৩৬৪ জন।
সর্বাধিক আক্রান্ত দেশসমূহ : করোনায় সর্বাধিক আক্রান্ত দেশসমূহ ক্রমান্বয়ে- ১. চীন (৮১,০৫৪)। ২. ইতালি (৫৩,৫৭৮)। ৩. যুক্তরাষ্ট্র (২৬,৯০০)। ৪. স্পেন (২৫,৪৯৬)। ৫. জার্মানি (২২,৩৬৪)। ৬. ইরান (২০,৬১০)। ৭. ফ্রান্স (১৪,৪৫৯)। ৮. দক্ষিণ কোরিয়া (৮,৮৯৭। ৯. সুইজারল্যান্ড (৬,৮৬৩) ও ১০. যুক্তরাজ্য (৫,০১৮) জন।
করোনা আক্রান্ত হয়ে সারা পৃথিবীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সংকটাপন্ন আছেন ৯ হাজার ৯৪৩ জন। মোট আক্রান্ত থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৯৫ হাজার ৮৩৪ জন। এই মুহূর্তে সারাবিশ্বে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৯৯ হাজার ৮১৫ জন।