কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনাভাইরাস সঙ্কট নিয়ে সকল ধরনের গুজব, মিথ্যা তথ্য, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকান্ড সম্পর্কে দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে এ সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার পাশাপাশি জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে প্রশাসনকে অবহিত করতেও দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি।
রবিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে দল ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের এমন ৬ দফা নির্দেশনা দেন। বিবৃতিতে তিনি বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস সঙ্কট মোকাবেলায় দলের নেতাকর্মীদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি ও সতর্কতা মেনে চলে দেশব্যাপী গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে উপযোগী কর্মসূচী পরিচালনারও নির্দেশ দেন।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতা-কর্মীদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি ও সতর্কতা মেনে চলে সারাদেশের জনগণের মধ্যে বিজ্ঞানসম্মতভাবে করোনাভাইরাস সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এই ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সঠিক তথ্য প্রদান করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা এবং জনসমাগম হতে পারে এমন কর্মসূচী পরিহার করবেন। সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে মানুষের মনে সৃষ্ট আতঙ্ক দূর করে দলের নেতাকর্মীদের গণমাধ্যমে প্রচারিত সরকারী নির্দেশনা মেনে চলার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করতে হবে।
সারাদেশের নেতাকর্মীদের ৬ দফা নির্দেশনা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বিবৃতিতে বলেন, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, গ্রাম ও শহর পর্যায়ে সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশফেরত ব্যক্তিবর্গের তালিকা প্রস্তুত করে ওই সকল ব্যক্তিদের তথ্য স্থানীয় পর্যায়ের প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করতে হবে এবং সবাইকে স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবেন। প্রয়োজনে সরকার ঘোষিত হটলাইনে যোগাযোগ রক্ষা করবেন।
বাজারে গুজব সৃষ্টি করে মূল্য বাড়ানোর তৎপরতা সম্পর্কে সতর্ক অবস্থান গ্রহণের জন্য দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে কোন প্রকার খাদ্য সঙ্কট নেই। বাজারে গুজব সৃষ্টি করে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির অপতৎপরতা ও মজুদদারির বিরুদ্ধে সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করবে। এ বিষয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করতে হবে।
দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণমূলক কর্মকান্ড স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা এবং নিজ নিজ এলাকার জনগণকে সচেতন করার নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোন ব্যক্তির মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোন প্রকার উপসর্গ দেখা দিলে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করে তাদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা প্রদানে সহযোগিতা করবেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য তথা দেশের প্রতিটি নাগরিকের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তা রক্ষায় বদ্ধপরিকর। তিনি বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস সঙ্কট মোকাবেলার জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করে নিবিড়ভাবে কাজ করে চলেছেন। দেশবাসীর সম্মিলিত সচেতনতা, সতর্কতা ও স্বাস্থ্যবিধি পালনই পারে ভয়াবহ এই সঙ্কট থেকে আমাদের রক্ষা করতে। বাংলাদেশ তথা বিশ্ববাসীর এই ক্রান্তিলগ্নে সকলকে ধৈর্য, সতর্কতা, দায়িত্বশীলতা, মানবিকতা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য বিবৃতিতে তিনি আহবান জানান।
