একে কুদরত পাশা সুনামগঞ্জ থেকে :
সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় বাণিজ্যিক মার্কেট নির্মাণ ও শহীদ মিনার নিয়ে কটুক্তি ও অবজ্ঞার প্রতিবাদে সুনামগঞ্জের সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধারা কালো কাপড়ে শহীদ মিনার ঢেকে দিয়ে প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তিন শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা।
রবিবার সকাল ১০টায় মুক্তিযোদ্ধারা হাতে লাঠি ও জাতীয় পতাকা নিয়ে শহীদ মিনার এলাকায় সম্প্রতি গড়ে তোলা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অপসারণের দাবিতে মিছিল সহকারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। তখন জেলা আইন শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সভা চলছিলো সম্মেলন কক্ষে। বিক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধারা সভা চলাকলীন সময়েই সম্মেলন কক্ষে প্রবেশ করেন। তারা শহীদ মিনার এলাকায় জেলা জজ কর্তৃক সম্প্রতি নির্মিত বাণিজ্যিক মার্কেট অপসারণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ ও পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান স্মারকলিপি গ্রহণ করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির মাধ্যমে সরকারি সংশ্লিষ্ট দফতরে এটি প্রদান করার আশ্বাস দিলে মুক্তিযোদ্ধারা ফিরে আসেন শহীদ মিনারে।
গত ১ মার্চ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত স্বাধীনতা দিবস প্রস্তুতি অনুষ্ঠানে আগামী ২৬ মার্চ শহীদ মিনার দখলের প্রতিবাদে কর্মসূচি বর্জনের হুমকি দেন। এর প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধারা শহিদ মিনার রক্ষার দাবি জানান। তাছাড়া একই শহরের পুরাতন কোর্ট এলাকায় জেলা জজের কর্মচারীরা গরুর খামার, রিক্সার গ্যারেজ, রেস্টুরেন্ট, মোদী দোকানসহ মার্কেট করে ভাড়া দিয়ে ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা আড়ালের নিন্দাও জানান স্মারকলিপিতে। পাশাপাশি গত দুই বছর ধরে সুনামগঞ্জের স্থায়ী বাসিন্দা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের বঞ্চিত করে আদালতে বাইরের কর্মচারী নিয়োগ দেয়ায় সেটা বাতিলের দাবিও জানান তারা।
মুক্তিযোদ্ধারা বিক্ষোভ মিছিল সহকারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে প্রতিবাদ স্বরূপ কালো কাপড়ে শহিদ মিনার ঢেকে দিয়ে দখলের প্রতিবাদ জানান। পরে শহীদ মিনার চত্বরে বসে তারা অবস্থান কর্মসূচিতে বসেন।
শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হাজী নূরুল মোমেন, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবু সুফিয়ান, সদর উপজেলার সাবেক কমান্ডার আব্দুল মজিদ, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আতাউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর প্রমুখ।