ধুবরিয়া হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বাপার গ্রামীণ নাগরিক সভা ॥ জলমহাল ইজারার শর্ত ভঙ্গ করে হাওর শুকিয়ে মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে

4

জলমহাল ইজারার শর্ত ভঙ্গ করে হাওর শুকিয়ে মাছ ধরা বন্ধ ও ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ উপজেলার মধ্যবর্তী ধুবরিয়াসহ সকল হাওর ও জলমহালের ইজারা বাতিল করতে হবে। অন্যথায় সিলেট অঞ্চলের মৎস্যসম্পদ চিরতরে শেষ হয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়নের দনারাম বাজারে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও সুরমা রিভার ওয়াটারকিপারের উদ্যোগে গ্রামীণ নাগরিকসভায় বক্তারা একথা বলেন।
গ্রামীণ নাগরিকসভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেটের নাগরিক সংগঠক ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী বাহার। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা সিলেটের যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক ছামির মাহমুদের সঞ্চালনায় মূল বক্তব্য রাখেন বাপা-সিলেটের সাধারণ সম্পাদক ও সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার আব্দুল করিম কিম।
বক্তারা বলেন, ইজারা প্রদানের ২৮ নং শর্তে বলা আছে, ইজারা গ্রহিতা ইজারাধীন জলমহালে যান্ত্রিক বা অন্য কোনো পন্থায় সম্পূর্নরুপে পানিশূন্য করে মাছ ধরা যাবে না। কিন্তু এই জলমহালে সেচযন্ত্র দিয়ে পানিশূন্য করে মাছ ধরা শুরু হয়েছে। যা বন্ধ করে ইজারা বাতিল করতে হবে। হাওর-বিল সম্পূর্ণরুপে সেঁচে এভাবে মাছধরার প্রতি মৌসুমের স্বাভাবিক চিত্র হয়ে উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসনের গাফলতি ও সাধারণ মানুষের নিরবতায় প্রকৃতির ভয়াবহ ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। সিলেট বিভাগের অধিকাংশ হাওর ও বিলের জলজ জীববৈচিত্র একশ্রেণীর মানুষের লোভের কারণে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
নাগরিক সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য ৪ নং উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল কাইয়ুম। এতে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট বাবলু ভৌমিক, যুক্তরাজ্য প্রবাসী কমিউনিটি নেতা হাজি মজনু মিয়া, এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বি শানুর উদ্দিন, কালা মিয়া, পংকি মিয়া, মসব আলী, হাজি সুফি মিয়া, মো. আব্দুর রব, মো. বাবুল মিয়া, সারই মিয়া, আলফু মিয়া, দুধাই মিয়া,আশিক মিয়া, শাহিন আহমদ, আনোয়ার উদ্দিন, আশিক আলী ও মো. নিজাম উদ্দিন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি