গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জে আমির হোসেন (১৮) নামে এসএসসি পরীক্ষার্থী খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে গোলাপগঞ্জ। বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মানিককোনা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে। দুপুরে নিহতের বসন্তপুর গ্রামের লোকজনও মানববন্ধন ও পথসভার কর্মসূচী পালন করে। খুন হওয়া আমির উপজেলার শরিফগঞ্জ ইউপির বসন্তপুর গ্রামের আব্দুল হকের পুত্র ও ফেঞ্চুগঞ্জ মানিককোনা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রত্যাশী। প্রায় এক বছর পূর্বের ক্যারাম খেলার বিরোধের জেরেই ডেকে নিয়ে খুন করা হয় আমিরকে। নিহতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মানিককোনা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে এ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নিহতের সহপাঠী এসএসসি ফল প্রার্থী ফাহিম আহমদ, হোসেন আহমদ, একাদশ শ্রেণীর সামিউল ইসলাম, সাদিকুর রহমান, দশম শ্রেণীর রায়হানুল ইসলাম, নবম শ্রেণীর মাহবুব আহমদ। স্থানীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাবাজ উদ্দীন, মাসুক মিয়া, কামাল উদ্দীন, জিল্লুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল মান্নান, ছানা মিয়া, নুনু মিয়া, আব্দুল আজিজ, জামাল উদ্দীন, আশিক মিয়া, আব্দুল হান্নান, জামাল উদ্দীন, আশিক মিয়াসহ ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিরাজুল ইসলাম, গোলাপগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক সেলিম হাসান কাওছার, বাবুল আহমদ, ছিতু মিয়া, ডাঃ শামীম আহমদ, রফিক উদ্দিন, রফিক উদ্দিন মেম্বার, আব্দুল হেকিম, আব্দুল হান্নান মেম্বার প্রমুখ। শিক্ষার্থী বক্তারা, নিহত আমিরের সকল খুনিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী করেন। খুনিরা প্রায় এক বছর থেকে নিহত আমিরসহ আমিরের পরিবারকে মামলা হামলাসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছিল। উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার রাত আট’টায় নিহত আমির প্রতিদিনের ন্যায় স্থানীয় সবন্তপুর বাজারে বাজার করতে গেলে একই এলাকার খুনিরা তাকে ডেকে সিরাজ উদ্দিন মার্কেটের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরপরই খুনিরা কোন কিছু বুজে উঠার আগেই দেশিয় ছুরা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপাতে থাকে। খুনিদের হাত থেকে বাঁচার জন্য নিহত আমির হোসের প্রায় অধর্ব কিলোমিটার জায়গা দৌড়ায়। তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে খুনিরা পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা নিহত আমিরকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১০টায় সেখানকার ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার দিন রাতেই এক মহিলাসহ ৫জনকে আটক করে পুলিশ। ঘটনার পরের দিন নিহতের মা পারবিন বেগম বাদী হয়ে ১৫জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০/১২জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১০।