কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস আজ। সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও ‘পৃথিবীর অস্তিত্বের জন্য প্রাণিকূল বাঁচাই’ প্রতিপাদ্য দিবসটি পালিত হচ্ছে। ২০১৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিবছর ৩ মার্চ এই দিনটি বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস পালিত হয়ে আসছে। সামগ্রিকভাবে বন্যপ্রাণীকে উপজীব্য করে এদের রক্ষায় আহ্বান জানানো হয় এই দিবসে। বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো জনকণ্ঠকে বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরাও দিবসটি পালন করি। দিবসটি উপলক্ষে বিকেলে বন ভবনে আলোচনা সভা ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। জানা গেছে, আলোচনা সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার উপস্থিত থাকবে বলেও জানা গেছে। আলোচনায় বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও অংশ নেবে। তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে দেখানো হবে বিভিন্ন প্রদর্শনী।
এদিকে, সম্প্রতি চীনের করোনাভাইরাস এই বন্য প্রাণী থেকেই ছড়িয়েছে বলেও জানা গেছে। আর প্রাণঘাতী এই করোনাভাইরাসটি দ্রুত বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। বিদেশের অনেক দেশেই বিভিন্ন প্রাণীর কাঁচা বা হাল্কা সিদ্ধ মাংস খুব জনপ্রিয় খাবারও। প্যাঙ্গোলিন এবং অন্যান্য বুনো জানোয়ার, বিশেষ করে বাদুড়, চীনের মাংসের বাজারে নিয়মিত বিক্রি হয়। যে কারণে এক প্রাণী থেকে দ্রুত আরেক প্রাণীর মধ্যে ভাইরাস ছড়ানো সম্ভব, যা পরবর্তীতে মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, বিশ্ব বন্য প্রাণী তহবিলের হিসাব অনুযায়ী, ১৯০০ সালে বিশ্বে বাঘের সংখ্যা ছিল প্রায় এক লাখ। ২০১৪ সালে তা কমে চার হাজারে নেমে আসে। বাংলাদেশে ২০০৪ সালে পায়ের ছাপ গুনে বাঘের সংখ্যা নির্ণয় করার জরিপে বলা হয়, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৪৪০। ২০১৪ সালে জরিপ করা হয় ক্যামেরায় ছবি তুলে ও পায়ের ছাপ গুনে। ওই জরিপে বাঘের সংখ্যা পাওয়া যায় ১০৬। সর্বশেষ জরিপ ২০১৬ যা পরে প্রকাশ করা হয় সেখানে বাঘের সংখ্যা বেড়ে এখন ১১৪টি।