কাজিরবাজার ডেস্ক :
আইই-ডিসিআরের ভাইরোলজি ল্যাবে এখন পর্যন্ত সন্দেহজনক করোনা আক্রান্ত মোট ৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায়ও দুজনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের কারও শরীরে করোনাভাইরাসের নমুনা পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ এখনও করোনাভাইরাসমুক্ত। উহান ফেরত বাংলাদেশীরা বাড়িতে ফিরেও সুস্থ আছেন। করোনাভাইরাস নিয়ে সৃষ্ট নানা গুজব পরিহার করার আহ্বান জানিয়েছে আইইডিসিআর। চীনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮০৭। সবমিলিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৮৬৮ আক্রান্ত হয়েছেন ৭২ হাজার ৩৫৫।
করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার আইইডিসিআর মিলনায়তনে নিয়মিত অবহিতকরণ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। করোনা-ভাইরাস নিয়ে গুজব পরিহারের আহ্বান জানিয়ে পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মীরজাদী সাব্রিনা ফ্লোরা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি দেশ-বিদেশের বরাত দিয়ে নানা গুজবের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে সামাজিক গণমাধ্যমে এর উদ্বেগজনক প্রসার ঘটছে। এ ধরনের গুজবের পরিণতিতে সাতক্ষীরাতে একজন সন্দেহজনক রোগীর মায়ের দুঃখজনক মৃত্যু ঘটেছে। শুধু তাই নয়, কোন কোন স্থানে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে এর ফলে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। চীন ও সিঙ্গাপুর ফেরত কোন কোন যাত্রীর ব্যক্তিগত ও সামাজিক নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এতে প্রভাবিত হয়ে কোন কোন স্থানে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী চীন ও সিঙ্গাপুর ফেরত যাত্রীদের প্রতি জবরদস্তি করছে। গুজব ও জবরদস্তি দুটোই সম্ভাব্য রোগী শনাক্তে বাধার সৃষ্টি করবে, সন্দেহভাজন রোগীরা তথ্য ও অবস্থান গোপন করবে। এটা করোনাভাইরাস রোগী শনাক্তে জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের চেষ্টাকে হুমকির মুখে ফেলবে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বপ্রথম আইইডিসিআর হটলাইনে যোগাযোগ করে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পুনরায় আহ্বান জানান অধ্যাপক ডাঃ ফ্লোরা।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি : গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআর-এর ভাইরোলজি ল্যাবরেটরিতে সন্দেহজনক করোনাভাইরাস আক্রান্ত ২ ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করে তাদের নমুনায় করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। উহান ফেরত ৩১২ যাত্রীর কোয়ারেন্টাইন পরবর্তী আরও ১০ দিন সীমিত চলাচল ও নিজেদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি অবহিত করতে আইইডিসিআরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তাদের প্রতি নির্দিষ্ট নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাদের কেউ কেউ হটলাইনে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। তারা সবাই সুস্থ আছেন।