কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ সমাপনি আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, বাংলাদেশ আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে, পুরো বিশ্ব দেখছে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি। অতীতে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সমন্বয় ছিল না বলেই দেশের উন্নয়ন হয়নি। বর্তমান বিরোধী দল হিসাবে আমরা সরকারের মন্দ কাজের সমালোচনার পাশাপাশি ভাল কাজের সমর্থন ও সহযোগিতা করছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এশিয়ার সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশ। এই উন্নয়ন ও অগ্রগতির অংশীদার বর্তমান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও। বাংলাদেশের অগ্রগতিতে বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টির ভূমিকা কোন অংশে কম নয়।
তিনি বলেন, অনেক উন্নয়ন হলেও কর্মসংস্থান আশানুরূপ হচ্ছে না। সাড়ে ৫ কোটি মানুষের কোন কাজ নেই। ব্যাংকে টাকা নেই, ঋণ নিয়ে অনেকে টাকা ফেরত দিচ্ছে না। ঋণ নিয়ে দেশে বিনিয়োগ না করে বিদেশে পাচার করছে। শেয়ারবাজারে ধস। তাহলে কীভাবে আমরা সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া থেকে এগিয়ে যাব? দেশের শিক্ষার মানও নি¤œমুখী। বড় বড় হাসপাতালে ডাক্তার পাওয়া যায় না। নিরাপদ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যেভাবেই হোক খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তরুণ প্রজন্মরা বিষযুক্ত খাবার খেয়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে। নিরাপদ পানি খেতে পাচ্ছে না। এসব কী দেখার কেউ নেই? নারীর ক্ষমতায় নিয়ে প্রশ্ন তুললে এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে, বিরোধী দলের নেতা ও স্পীকারকে দেখান। জবাবে রওশন এরশাদ বলেন, এটা তো ভাগ্যক্রমে হয়েছে। প্রতিনিয়ত নারী-শিশু ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। ঘরে ঘরে মাদক ছড়িয়ে পড়ছে, নতুন প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এসব বন্ধ করতে হবে। ফেসবুকের কারণে নতুন প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, লেখাপড়া করে না।
সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ শুধু বাংলাদেশ নয়, ইউনেস্কোভুক্ত ১৯৫টি দেশ বছরব্যাপী মুজিববর্ষ পালন করবে। ভারতে চরম সাম্প্রদায়িক শক্তি ক্ষমতায় থাকার পরও দেশটির জনক মহাত্মা গান্ধীকে মেনেই দেশ পরিচালনা করছে। কিন্তু এদেশের কিছু স্বাধীনতাবিরোধীরা ও পাকিস্তানের পেতাত্মারা এখনও নানা কথা বলে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা নেতৃত্বে বাংলাদেশ আশাতীতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বলেই বিশ্ব নেতারা বলছে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোলমডেল। শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় আসে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়, ক্ষমতায় না থাকলে দেশ খাদ্য ঘাটতিতে পড়ে। বিএনপি বারবার প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করেছে, কিন্তু আল্লাহ তাঁকে রক্ষা করেছেন বলেই দেশের মানুষ উন্নয়ন ও অগ্রগতি পাচ্ছে।
চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন বলেন, এই সংসদে যুদ্ধাপরাধীদের বসানো হয়েছিল। মানুষ দেখেছে এই সংসদে সাকা চৌধুরীর কর্কশ হাসি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সংসদকে যুদ্ধাপরাধী-রাজাকারমুক্ত করেছেন। ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে হত্যার চেষ্টা করে, হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়। তাদের সেই দুঃশাসনের কথা দেশের জনগণ কোনদিন ভুলে যাবে না।