জৈন্তাপুরে পরিবেশ বান্ধব ইকোইট এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ॥ অবৈধ সকল ইটভাটা বন্ধ করে দেয়া হবে

52
জৈন্তাপুরের হরিপুরের বাঘেরখালে পরিবেশ বান্ধব ব্লক (ইকোইট) ইট ইন্ডাষ্ট্রির উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো: শাহাব উদ্দিন এমপি।

জৈন্তাপুর থেকে সংবাদদাতা :
“সাধ্যের মধ্যে স্বপ্নের বাড়ি” এ শ্লোগানকে সামনে রেখে জৈন্তাপুর উপজেলার ফতেপুর (হরিপুর) ইউনিয়নের দক্ষিণ বাগেরখাল এলাকায় কৃষি জমি নষ্ট ও পরিবেশের ক্ষতি করে না এমন পরিবেশ বান্ধব ব্লক ইট নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ইকোইট এর বাণিজ্যিক উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্র“য়ারী) দুপুর ১২ টায় বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বাণিজ্যিক উৎপাদন কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জৈন্তাপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা পারভীনের সভাপতিত্বে ও সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজতকান্তি গুপ্ত সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এর মহাপরিচালক এ.কে.এম রফিক আহমদ, সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মো. মাহবুবুল আলম, ইকোইট লিমিটেডের এর পরিচালক ইসরাত জাহান পান্না, জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক বিজিত চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক রণজিত সরকার, ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান চৌধুরী, রমজান রুপজান বাগেরখাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল সিরাজ উদ্দিন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।
পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সব ইটভাটা ২০২৫ সালের মধ্যে সরকার বন্ধ করে দেবে জানিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘ভাটায় পোড়ানো ইট পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর ইটভাটা গুলো দিন দিন নষ্ট করছে ফসলি জমি, ব্যাপক ক্ষতি করছে পরিবেশের। তাই এখন থেকে সবাইকে পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট ব্যবহারের চেষ্টা করতে হবে। গাছপালা, পাহাড়, টিলা কাটা বন্ধ করতে হবে। ভূমিকম্প, জলোচ্ছ্বাস বন্যা ইত্যাদি মহামারী প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। যে কোনো মূল্যে দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আগেকার সময় হাট বাজারে গেলে সাথে চটের ব্যাগ থাকতো, এখন ব্যবহার হয় পলিথিন। পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। আমাদেরকে আবারো চটের ব্যাগ ব্যবহারে ফিরে যেতে হবে। সারাদেশ থেকে পরিবেশ বিনষ্টি বন্ধ করা হবে। পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাটজাতীয় ব্যাগ বাজারজাতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরিবেশ রক্ষার জন্য টিলা কাটা, নদী ভরাট ও পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে এক দিনে সারা দেশে এক কোটি গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।