ক্যান্সারে দেশে প্রতি বছর এক লাখ রোগীর মৃত্যু

15

কাজিরবাজার ডেস্ক :
দেশে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ২০১৩ সালের তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ। দেশে প্রতি বছর ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি রোগী এতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ রোগে মারা যাচ্ছেন বছরের প্রায় লক্ষাধিক। ২০৩০ সাল নাগাদ ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হবে।
শুক্রবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ক্যানসার প্রতিরোধে দেশে প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে’ এসব কথা জানান বিশেষজ্ঞরা।
বক্তারা বলেন, ক্যানসার রোগীর সংখ্যা কমাতে এখনই প্রয়োজন সবার মধ্যে ‘তথ্য ও বার্তা’ পৌঁছে দেওয়া। চিকিৎসকের কাছে তথ্য থাকে এটাকে বার্তায় রূপান্তর করে সবার মধ্যে পৌঁছে দিতে পারলে ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমাতে পারব। না হলে অবস্থা ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশ ও বিদেশি ক্যানসার বিশেজ্ঞরা।
অনুষ্ঠানে ভারতের মুম্বাই টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারের ক্যানসার প্রতিরোধ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. গোরভী মিশ্রা বলেন, আফ্রিকার দেশগুলোতে এইচআইভি রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু আমাদের অঞ্চলে এখন ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মেয়েদের ব্রেস্ট ক্যানসার আরো ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। তবে এখনই আমাদের ক্যানসার বিষয়ে সচেতন করতে হবে, তথ্যকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। যাতে সবাই সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সেগুলো মেনে চলে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেসের উপাচার্য ডা. ফরিদুল আলম বলেন, আন্তর্জাতিক গবেষণা মতে, আমাদের দেশে প্রতি বছর গড়ে ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন, গড়ে লক্ষাধিক মানুষ এ রোগে মারা যাচ্ছেন। তাই ক্যানসার প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন করতে হবে।
ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ মাসুদুল হক বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান ক্যানসার সচেতনতা, স্ক্রিনিং এবং ক্যানসার রোগীর ও তার পরিবারের পুনর্বাসনে কাজ করে আসছে। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ক্যানসারের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে। এক্ষেত্রে আমাদের সচেতনার বিকল্প নেই।
বরেণ্য ক্যানসার চিকিৎসক ডা. এম এ হাইয়ের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যানসার বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. সারোয়ার আলম, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেসের নন কমিউনিকেবল ডিজিসেস বিভাগের প্রধান ডা. মিথিলা ফারুকী, ক্যানসার অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের ডা. মোহাম্মদ মাহমুদুল হক প্রমুখ।