রসময় মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী পুনর্মিলনীতে মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন ॥ পরিবেশ বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে একযোগে কাজ করতে হবে

31
রসময় মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের দুদিনব্যাপী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, শিক্ষা হচ্ছে দেহ, মন ও আত্মার উন্নতির নাম। নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে শিক্ষা প্রয়োজন সে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছেন।
তিনি শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেটের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীট রসময় মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও পুনর্মিলনী আয়োজক কমিটির আহবায়ক আফসার আজিজ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন আরো বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে মুজিব বর্ষ পালন করা হবে। একদিনে এককোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। রসময় মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালকে স্মরণ করে প্রধান অতিথি বলেন, ১৯৩০ সালে যে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছিল তা একদিন মহীরূহে পরিণত হবে। তিনি একাডেমিক ভবন ঊর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, আমাদের টিলা কাটা, নদী খাল ভরাট এবং অযথা হর্ণ বাজানো থেকে বিরত থাকতে হবে। পরিবেশের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে তিনি সকল নাগরিকের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সুপ্রীম কোর্ট এর বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ বলেন, ১৯৬৪ সালে রমনী মোহন স্যারের মাধ্যমে আমার এই স্কুলে আগমন। তখনকার সময় শিক্ষার পরিবেশ এতোটা ভালো ছিল না। কিন্তু মনের মধ্যে উচ্চাকাংখা ছিল। এই কারণে একটি পর্যায়ে পৌছতে পেরেছি। তিনি বলেন, পড়াশোনা সম্পূর্ণ নিজস্ব ব্যাপার। উচ্চাকাংখা, দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ও অধ্যয়নই একজন শিক্ষার্থীর সফলতার উপায় হতে পারে।
পুনর্মিলনী আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব ধীরাজ নন্দী চৌধুরীর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া আলোচনা পর্বে অতিথির বক্তব্য রাখেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড সিলেট এর চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. মজিদুল ইসলাম, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ শফিকুর রহমান চৌধুরী ও সুব্রত পুরকায়স্থ এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মুফতি মো. ওবায়েদ এবং গীতা পাঠ করেন বিনায়ক শুভ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রকাশনা উপ পরিষদ এর আহবায়ক সঞ্জয় কুমার নাথ। এর আগে অতিথিবৃন্দকে ফুল ও উত্তোরীয় পরানোর মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানানো হয়। অতিথিবৃন্দ প্রাক্তণ ছাত্র-ছাত্রী পুনর্মিলনী স্মারক ‘স্মৃতিময় রসময়’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন। বিকেলে দুদিনব্যাপী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। পরে একটি শোভাযাত্রা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। রাতে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিজ্ঞপ্তি