সাড়ে সাত হাজার চীনা দেশে এসেছে, আর ভিসা নয় – স্বাস্থ্যমন্ত্রী

9

কাজিরবাজার ডেস্ক :
গত কয়েক দিনে সাত হাজার চীনা নাগরিক বাংলাদেশে এসেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আর কাউকে ভিসা দেবে না বাংলাদেশ। দেশে কোনো কোরোনাভাইরাস রোগী নেই বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চীন থেকে বাংলাদেশে আসা নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এ দেশে বিভিন্ন প্রকল্পে নিয়োজিত যারা ছুটিতে চীনে গেছেন, তাদের আপাতত ভিসা দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। চীন থেকে আর কাউকে ফেরত আনা হবে না।
চীনাদের অন অ্যারাইভাল ভিসা আপতত বন্ধ জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘চীন থেকে যারা ভিসা নিয়ে আসবে, তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট দিতে হবে। গত কদিনে সাড়ে ৭ হাজার চীনা নাগরিক এসেছে। তারা নিজ দায়িত্বে নিজেদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে একজনও করোনাভাইরাস রোগী নেই। এই ভাইরাস প্রতিরোধে দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ পূর্ণ সজাগ রয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের সব বন্দরে স্ক্যানিং মেশিন বসানো হয়েছে।
চীন থেকে ফেরত আনা ৩১২ জন বাংলাদেশি নাগরিক সুস্থ থাকায় তাদের আশকোনা হজ ক্যাম্প থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি ছেড়ে দেওয়া হবে। তাদের শরীরে কোনো ধরনের ভাইরাস পাওয়া যায়নি।
গত ১ ফেব্রুয়ারি বিশেষ বিমানে ওই বাংলাদেশিদের চীন থেকে দেশে আনা হয়। কারও শরীরে করোনাভাইরাস থাকলে সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে এর লক্ষণ প্রকাশ পায়। কিন্তু এর আগেও তাদের অজান্তে এই ভাইরাস অন্যের শরীরে সংক্রমিত হয়ে থাকে। তাই সন্দেহভাজনদের সতর্কতার জন্য ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। ওই বাংলাদেশিদের দেশে আনার পর আশকোনার হজক্যাম্পে রাখা হয়।
দেশে যাদের সর্দি-কাশি আছে তারা ছাড়া অন্যদের মাস্ক পরে বাইরে ঘোরাফেরার কোনো প্রয়োজন নেই বলে জানান মন্ত্রী। দেশে বর্তমানে মাস্ক সংকট আছে কি না- সাংবাদিকরা জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বরেন, খুব শিগগির জাপান সরকার বাংলাদেশকে ৬৮ লাখ মাস্ক বিনামূল্যে দেবে বলে আশ্বস্ত করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী আ খ ম মহিউল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত সেখানে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৪৯।
মহামারির আশঙ্কায় জাতিসংঘ বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে।