কাজিরবাজার ডেস্ক :
নির্বাচিত হলেও এখনই দায়িত্ব পাচ্ছেন না নবনির্বাচিত মেয়র কাউন্সিলররা। এজন্য তাদের আগামী মে মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আইন অনুযায়ী ঢাকার দুই সিটিতে নির্বাচিত আগের মেয়াদের প্রতিনিধিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী মে মাসে। মেয়াদ শেষেই কেবল নির্বাচিতরা দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারবেন। তবে নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের নির্বাচিত ঘোষণা করে দু/একদিনের মধ্যেই গেজেট প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গেজেট প্রকাশের পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় শপথের আয়োজন করবে।
এর আগে শনিবার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে উত্তর সিটিতে আতিকুল ইসলাম এবং দক্ষিণের ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হন। সেই সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণে ৭৫, উত্তরে ৫৪ সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও দুই সিটিতে মোট ৪৩ সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়। ভোটে জয়ী হওয়ার পর আলোচনার কেন্দ্রÑকবে থেকে দায়িত্ব পাচ্ছেন নবনির্বাচিতরা?
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখনই তারা দায়িত্ব পাচ্ছেন না। নবনির্বাচিতদের নাম, ঠিকানাসহ ফল গেজেট আকারে প্রকাশের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আর শপথ আয়োজনের বিষয়টি স্থানীয় সরকার বিভাগ দেখবে। স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেছেন, বর্তমান মেয়র মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেই নতুন নির্বাচিত মেয়র দায়িত্ব নেবেন। বিষয়টি আইনে পরিষ্কারভাবেই আছে। তবে এর আগে গেজেটের পর শপথ হয়ে থাকলেও অসুবিধা নেই বলে মনে করেন তিনি।
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। উত্তর সিটিতে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ১৪ মে। সে হিসেবে চলতি ২০২০ সালের ১৩ মে পর্যন্ত বহাল থাকবে আগের নির্বাচিতরা। যদিও সেই ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন আনিসুল হক। তার মৃত্যুতে গত বছর অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে আতিক মেয়র নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। আতিকুল ইসলাম উত্তরের মেয়র পদ আইনী বাধ্যবাধকতার কারণে ছেড়ে নতুন নির্বাচনে অংশ নিয়ে পুননির্বাচিত হন। ২০১৫ সালের সিটি নির্বাচনে দক্ষিণ সিটির মেয়র হয়েছিলেন সাঈদ খোকন। দক্ষিণ সিটিতে মেয়রের দায়িত্বে থাকা সাঈদ খোকন এই নির্বাচনে অংশ নেননি। ফলে তিনি পদেই রয়ে গেছেন। নির্বাচনের পর দক্ষিণ সিটিতে প্রথম সভা হয়েছিল ১৭ মে। অর্থাৎ দক্ষিণ সিটির দায়িত্বপ্রাপ্তদের মেয়াদ শেষ হবে চলতি ২০২০ সালের ১৬ মে। সে হিসেবে সাঈদ খোকনের পর দায়িত্ব বুঝে নেবেন তাপস। এক্ষেত্রে ঢাকা উত্তর একটু ব্যতিক্রম হলো, মেয়রের আসনটি বর্তমানে শূন্য। তবে উত্তর সিটিতে পূর্বের নির্বাচিত কাউন্সিলরদের মেয়াদ শেষ হয়নি। তাই আগামী মে মাস পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে দুই সিটির নির্বাচিতদের।