কাজিরবাজার ডেস্ক :
নতুন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস চীনের বাইরে ছড়িয়ে পড়ার কারণে বিশ্বজুড়ে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গতকাল বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠক শেষে জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় সংস্থাটি।
সংস্থার প্রধান টেড্রোস অ্যাডানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেন, চীনে কি হচ্ছে সেটার চেয়ে বেশি জরুরি বিশ্বের অন্যান্য দেশে কি ঘটছে। উদ্বেগের বিষয় হল, দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দেশগুলোতে এ ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এর আগে তিনি বলেন, কয়েক দিনে মানুষে-মানুষে সংস্পর্শের মাধ্যমে করোনাভাইরাস যেভাবে কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে তা উদ্বেগের। যদিও চীনের বাইরে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এখনও খুব কম। কিন্তু তা সত্ত্বেও এটি মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ ভাইরাসে আক্রান্তদের নির্দিষ্ট চিকিৎসা বা প্রতিষেধক নেই। তিনি বলেন, অনেক মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও আবার সেরে উঠতে পারেন। তবে শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে বাহিত হয়ে মারাত্মক সংক্রমণ তৈরি করতে পারে। এর ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।
এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হেলথ ইমার্জেন্সি বিভাগের প্রধান মাইকেল রায়ান বলেন, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য পুরো বিশ্বকে এখন সতর্ক হওয়া দরকার, প্রস্তুত হওয়া দরকার।
চীনের প্রতিটি অঞ্চলে এ ভাইরাস (২০১৯-এনসিওভি) ছড়িয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত চীনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৭৭১১ জন। মারা গেছে ১৭০ জনের বেশি। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসে মালয়েশিয়ায় এক ভারতীয় যুবক মারা গেছেন। এছাড়া ভারতে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
এ পর্যন্ত চীন, থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, হংকং, সিঙ্গাপুর, ভারত, মালয়েশিয়া, নেপাল, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং তাইওয়ানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ইসরায়েলেও এক রোগীর শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।