স্পোর্টস ডেস্ক :
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে মঙ্গলবার দিনের প্রথম ম্যাচে সৌম্য সরকার ও ডেভিড মালানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সিলেট থান্ডারকে ৫ উইকেটে হারাল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। এই জয়ের ফলে প্লে-অফে ওঠার দৌঁড়ে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল কুমিল্লা। ১০ ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে পঞ্চম অবস্থানে আছে কুমিল্লা। অন্যদিকে, এই ম্যাচের যমে এবারের বিপিএল মিশন শেষ করল সিলেট। ১২ ম্যাচ খেলে তারা মাত্র একটিতে জিতেছে। পয়েন্ট তাদের অবস্থান সবার নিচে।
এদিন মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে সিলেটের দেয়া ১৪২ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৯.১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় কুমিল্লা। দলের পক্ষে ৪৯ বলে ৫৮ করেন মালান। ৩০ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন সৌম্য। সিলেটের বোলারদের মধ্যে নাঈম হাসান ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। এছাড়া জনসন চার্লস শিকার করেন ১টি ও ইবাদত হোসেন ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান করে সিলেট থান্ডার। ব্যাটিংয়ে নেমে ধীর শুরু করেন সিলেটের ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার ও আব্দুল মজিদ। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ২৭ রানে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক আন্দ্রে ফ্লেচার। ২২ বল খেলে ২৫ রান করতে সমর্থ হন এই ব্যাটসম্যান।
জনসন চার্লস বোলারদের উপর চড়াও হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৫ বলে ২৬ করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ফ্লেচারের পর চার্লসকেও সাজঘরে ফেরান আল আমিন হোসেন।
এরপর আব্দুল মজিদ ও মোহাম্মদ মিঠুন দেখেশুনে খেলতে গেলে শ্লথ হয়ে যায় সিলেটের রানের গতি। ২৫ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন মিঠুন। শেষ দিকে জীবন মেন্ডিসের ১১ বলে ২৩ ও আব্দুল মজিদের ৪০ বলে ৪৫ রানের উপর ভর করে সিলেট ১৪১ রানে পৌঁছায়।
কুমিল্লার পক্ষে আল আমিন হোসেন ও ডেভিড ওয়াইজ ২টি করে উইকেট নেন। বাকি একটি উইকেট নেন মুজিব উর রহমান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফল: ৫ উইকেটে জয়ী কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।
সিলেট থান্ডার ইনিংস: ১৪১/৫ (২০ ওভার)
(ফ্লেচার ২২, আব্দুল মজিদ ৪৫, চার্লস ২৬, মিথুন ১৮, জীবন মেন্ডিস ২৩, মিলন ২*, সোহাগ গাজী ২*; সানজামুল ০/৩০, আবু হায়দার ০/১৮, মুজিব উর রহমান ১/২৩, আল-আমিন হোসেন ২/৩০, সৌম্য ০/৭, ওয়াইজ ২/৩১)।
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ইনিংস: ১৪২/৫ (১৯.১ ওভার)
(থারাঙ্গা ৪, ফারদিন ১, মালান ৫৮, অঙ্কন ১১, সৌম্য ৫৩*, ওয়াইজ ১৩, ইয়াসির ০*; ইবাদত হোসেন ১/২৬, নাঈম হাসান ৩/২১, সোহাগ গাজী ০/১৬, দেলোয়ার হোসেন ০/৩৫, চার্লস ১/৩০, নাজমুল ইসলাম ০/৯)।
ম্যাচ সেরা: ডেভিড মালান (কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স)।