কাজিরবাজার ডেস্ক :
গ্রাহকদের সর্বাধিক স্বস্তি দিতে সব ধরনের জ্বালানির দাম কমিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। পেট্রোলের দাম প্রতি লিটারে ১৮ দশমিক ৫০ রুপি করে কমানো হয়েছে দেশটিতে।
পাকিস্তানের সম্প্রচারমাধ্যম জিও নিউজের অনলাইন মাধ্যমে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে জ্বালানির দাম কমানোর ঘোষণা দেন শেহবাজ।
তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতায় আসার পর পেট্রোলের দাম বাড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণ করতে। পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন সরকারও এতে সম্মত হয়েছিল।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম কমছে। তাই সরকার জনগণকে স্বস্তি দিতে পেট্রোল লিটারে ১৮ দশমিক ৫০ ও ডিজেলে ৪০ দশমিক ৫৪ রুপি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দাম কমার পর পাকিস্তানে পেট্রোলের নতুন দাম হবে ২৩০ রুপি ২৪ পয়সা। ডিজেল বিক্রি হবে ২৩৬ রুপিতে। পেট্রোলিয়াম পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকেও সরে এসেছে পাকিস্তানের বর্তমান সরকার।
শেহবাজ তার বক্তৃতায় পিটিআই সরকারের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, আমরা আগের সরকারের কাছে একটি সংকটপূর্ণ অর্থনীতি উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছি। তারা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে করা চুক্তি পদদলিত করেছিল। সরকারি কোষাগার খালি হওয়া সত্ত্বেও তারা জ্বালানির দাম কমিয়েছিল। শুধুমাত্র আমাদের অসুবিধায় ফেলতে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সৃষ্টিকর্তার রহমতে আজ আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমছে, আমরাও দাম কমানোর সুযোগ পেয়েছি।
উল্লেখ্য, আইএমএফ’র সঙ্গে ঋণ চুক্তিতে পৌঁছেছে পাকিস্তান সরকার। এতে অতিরিক্ত ১২০ কোটি ডলারের পাশাপাশি আরও অর্থ ছাড় পাবে দেশটি। এ চুক্তিকে পাকিস্তানের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আগামী এক বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ ও আমদানি ব্যয় মেটাতে পাকিস্তানের প্রয়োজন চার হাজার কোটি ডলারের বেশি। আইএমএফের ফান্ডের কারণে এসব ঋণ পরিশোধের সুযোগ রয়েছে দেশটির কাছে। অন্যান্য দাতা দেশ ও সংস্থা থেকেও ঋণ পাওয়ার সুযোগ আছে পাকিস্তানের।