কাজিরবাজার ডেস্ক :
ভারতে লোকসভা নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনার পারদ এখন তুঙ্গে। এর মধ্যে মঙ্গলবার নানা জায়গায় সহিংসতা, প্রার্থীর ওপর হামলা ও বুথ দখলের মধ্যে ভারতের মোট ১১৭ লোকসভা আসনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এদিন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের ওপর হামলা হয়। পশ্চিমবঙ্গের কুমারগঞ্জের সাবেক এক তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে বুথ দখলের অভিযোগ উঠেছে। একই দিন মালদহে এক ভোট কেন্দ্রের বাইরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে তৃণমূল ও কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন মারা যায়। নির্বাচনের তৃতীয় পর্বে ভারতের ১৩ রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত দুই অঞ্চলের মোট ১১৭ আসনের ভোটাররা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেন।
এবার ভারতের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের মোট সাত দফায় ভোট হচ্ছে। তৃতীয় দফার এই নির্বাচন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ এ দফায় সবোর্চ্চ আসনে ভোটগ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাটসহ উত্তর প্রদেশের অনেকগুলো আসনে ভোট নেয়া হয়েছে। উত্তর প্রদেশের ফলাফল মূলত দিল্লীর মসনদ কার দখলে যাচ্ছে তা ঠিক করে দেয়। তৃতীয় পর্বের নির্বাচনে ভারতের প্রায় ১৮ কোটি ৮০ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পান। ভারতের এ নির্বাচনের মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ৯০ কোটি। বিশ্বের বৃহত্তম এ নির্বাচনী যজ্ঞের গত ১১ এপ্রিল প্রথম পর্বের ভোটগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচন শুরু হয়। ১৮ এপ্রিল দ্বিতীয় পর্বের ভোটগ্রহণের পর মঙ্গলবার তৃতীয় পর্বের ভোটগ্রহণ করা হয়। ২৯ এপ্রিল চতুর্থ পর্বের ভোটগ্রহণ করা হবে এবং ১৯ মে পর্যন্ত আরও তিনটি পর্বে ভোটগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচন শেষ হবে। ২৩ মে ভোট গণনা করা হবে এবং সেদিনই ফল প্রকাশের কথা রয়েছে।
মঙ্গলবার গুজরাটের ২৬, কেরলের ২০ আসনের পাশাপাশি কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রের ১৪ করে আসনে ভোটগ্রহণ করা হয়। এছাড়া উত্তর প্রদেশের ১০ আসনে, ছত্তিশগড়ের সাত, উড়িষ্যার ছয়, বিহার ও পশ্চিম বঙ্গের পাঁচটি করে আসনে, অসমের চারটি, গোয়ার দুইটি, জম্মু ও কাশ্মীরের একটি, কেন্দ্রশাসিত দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউয়ের একটি করে আসনে ভোট গ্রহণ করা হয়।