স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমা লালাবাজার এলাকায় ২টি বাস-ট্রাক-মোটরসাইকেলের চতুর্মুখী সংঘর্ষে মহিলাসহ ৩ জন নিহত ও অনন্ত ৪২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে ২ জন নিহত হওয়ার পর বিকেলে ওসমানী হাসপাতালে মারা গেছেন আরো এক জন। গতকাল রবিবার দুপুর ১২টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের রশিদপুর এলাকার সাতমাইল নামক স্থানে মর্মান্তিকভাবে এ সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে। দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে মর্গে পাঠায় এবং আহতদের ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হচ্ছেন- দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার সাতমাইল এলাকার আসক আলীর পুত্র মাহবুবুল আলম (৩০), জৈন্তাপুর উপজেলার ঠাকুরেরমাটি এলাকার অমল পাত্রের পুত্র কাজল পাত্র (৪৫) ও ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুরের জ্যোতিন বিশ্বাস চক্রবর্তীর স্ত্রী শিউলি চক্রবর্তী (৫০)। মাহবুব মোটরসাইকেলে এবং কাজল ও শিউলি বাসযাত্রী ছিলেন। আহতদের নাম পরিচয় তাৎক্ষনিক জানা যায়নি।
জানা যায়, রবিবার দুপুরে সাতমাইল নামক স্থানে দুটি বাস, একটি ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে মাহবুব ও কাজল নিহত হন ২ জন নিহত ও ৪২ জন আহত হন। দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ ২টি লাশ উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করে এবং আহতদের ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত হওয়ার পর শিউলিকে ভর্তি করা হয় ওসমানী হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার বিকেল ৫টার দিকে মারা যান তিনি। শিউলি চক্রবর্তীর আত্মীয় অরুণ চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিলেট থেকে ছেড়ে যাওয়া শেরপুরগামী যাত্রীবাহী বাস ঘটনাস্থলে পৌঁছামাত্র একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় পেছনে থাকা আরেকটি বাস ও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান মাহবুবুল ও কাজল। আহতদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ সময় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের উভয় রাস্তায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে রাস্তায় আটক পড়া যানচলাচল স্বাভাবিক করে দেয়।
এ বিষয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ (সিওমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ পুলিশ পরিদর্শক মো. পলাশ মিয়া বিকেলে দিকে জানান, দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪২ জনকে আহত অবস্থায় সিওমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দক্ষিণ সুরমা থানার এস আই রিপন জানান, ঘটনাস্থলে ২ জনের মৃত্যু হয় এবং এক মহিলা ওসমানী হাসপাতালে মারা গেছেন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল ঘটনার বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, এই দুর্ঘটনায় আহত সর্বমোট ৪২ জন সিওমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে ভর্তি আছেন ২৪ জন। আর ৩ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ২ জন ঘটনাস্থলে ও একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওসমানী হাসপাতালে মারা যান। তিনি বলেন, তবে দুঘর্টনার পর পরই গাড়ী চালকরা পালিয়ে গেছে এবং দুঘর্টনা কবলিতগাড়ীগুলো জব্ধ করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।