জামেয়া তাওয়াক্কুলিয়া রেঙ্গার শতবার্ষিকী ও দস্তারবন্দী মহাসেম্মলনের দ্বিতীয় দিন গতকাল ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে উল্লামা সম্মেলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়।
মহাসেম্মলনে সম্মানিত আমন্ত্রিত অতিথি ধর্মপ্রতিমন্ত্রী এডভোকেট আলহাজ¦ শেখ মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ জামেয়া তাওয়াক্কুলিয়া রেঙ্গার প্রশংসা করে বলেন, ‘বাংলাদেশে জামেয়া রেঙ্গাসহ কওমি মাদরাসা আছে বলেই আমরা ইসলাম ধর্মের সঠিক বিষয়াবলী জানতে পারছি। এজন্য আমাদের সরকার কওমি মাদ্রাসাগুলোকে স্বীকৃতি দিয়েছে। কারণ, ইসলামি শিক্ষা না থাকলে আমাদের অস্তিত্বই থাকবে না। ইনশাআল্লাহ যথাসময়ে আমাদের সরকার কওমি মাদরাসাগুলোকে আরও মূল্যায়ন করবে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি প্রদানে আওয়ামী লীগ সরকার শুরু থেকেই আন্তরিক ছিল। ১৯৯৬ থেকেই স্বীকৃতির বিষয়ে আমি কাজ করছি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী আলেমদের কাছে স্বীকৃতি দেয়ার ওয়াদা করেছিলেন। বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়ে তিনি তার ওয়াদা পূর্ণভাবে রক্ষা করেছেন।
অনেকেই কওমি সনদের বিরোধীতা করেছিল জানিয়ে শেখ মুহাম্দ আবদুল্লাহ বলেন, কওমি সনদের স্বীকৃতি দেয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই বিরোধিতা করেছেন। এমনকি আমাদের দল ও জোটের অনেকেও বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তার কথায় অটল অবিচল। স্বীকৃতি দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা শেখ হাসিনাকে টলাতে পারেনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার জামেয়ার শতবার্ষিকী সম্মেলনের ২য় দিন ছিল ধর্মপ্রাণ মানুষের উপচে পড়া ভীড়। শীতের রাতেও কানা কানায় বিশাল পেন্ডাল ছিল মুসল্লিতে পরিপূর্ণ। চার অধিবেশনে অনুষ্ঠিত মহাসেম্মলনের দ্বিতীয় দিনে সভাপতিত্ব করেন জামেয়ার সরপরস্ত মাওলানা শামসুল ইসলাম খলিল, আযাদ দ্বীনী এদারায়ে তালিম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দীন, দারুল উলুম কানাইঘাটের মুহতামিম শায়খ মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস লক্ষ্মীপুরী, দারুল উলুম মইনুল ইসলাম হাটজারীর সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা শেখ আহমদ, জামেয়া মাদানিয়া দারুস সালামের শায়খুল হাদিস মুফতি ওলিউর রহমান, জামেয়ার ছানী শায়খুল হাদীস আল্লামা নযীর আহমদ ঝিঙ্গাবাড়ী, জামেয়ার শিক্ষাসচিব মাওলানা গোলাম মোস্তফা, সুরাইঘাট মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা শফিকুল হক, মাওলানা শফিকুল আহাদ দিরাই, মাওলানা এজাজ আহমদ প্রমুখ।
মহাসম্মেলনে নসিহত পেশ করেন মাওলানা ইউসুফ আলি আসাম, বেফাকুল মাদারিস শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মাওলানা যোবায়ের আহমদ ইন্দেশ্বরী, মাওলানা শাহ মুহাম্মদ তৈয়ব জিরী চট্টগ্রাম, মাওলানা ফুরকান উল্লাহকে খলিল চট্টগ্রাম, মুফতি রশীদ আহমদ বরুনী, প্রফেসর হামিদুর রহমান, মাওলানা সাজিদুর রহমান বি-বাড়িয়া, জামেয়া কোরআনিয়া লালবাগ ঢাকার মুহাদ্দিস মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মাওলানা মুফতি আব্দুল মালিক ঢাকা, মুফতি আবুল বাশার মু. সাইফুল ইসলাম ঢাকা, মুফতি দেলোয়ার হুসাইন ঢাকা, মাওলানা নুরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী, সাবেক ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, ড. আ ফ ম খালিদ, মুফতি সামসুদ্দিন জিয়া পটিয়া, মাওলানা শায়েখ আব্দুল মতিন ঢাকা, মাওলানা আতাউল হক জালালাবাদী, মাওলানা ইউসুফ আহমদ হরিপুর, মাওলানা আহমদ মায়মুন ঢাকা, মুফতি আবদুল মুনতাকিম লন্ডন, মাওলানা তাহমিদে মাওলা, মাওলানা লুৎফুর রহমান ফরায়েজী প্রমুখ।
মাওলানা মুতিউর রহমান, মাওলানা জহিরুল ইসলাম ও মাওলানা জয়নাল আবেদীন এর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুস উস সামাদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফি আহমদ চৌধুরী, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু জাহিদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এম.এ সালাম, মাওলানা আব্দুল বারী ধর্মপুরী, মাওলানা আব্দুল মালিক রূপষপুরী, মাওলানা ইমদাদুল্লাহ কাতিয়া, মাওলান হিলাল আহমদ আহমদ হরিপুর, মাওলানা ফুরকানুল্লাহ খলীল প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি