মন্ত্রী সভায় নতুন বছরে রদবদল হতে পারে, মঙ্গলবার পূর্ণাঙ্গ কমিটি – ওবায়দুল কাদের

12

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের পুননির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মন্ত্রী সভায় রদবদলের সম্ভাবনা সম্পর্কে বলেছেন, মন্ত্রী সভায় রিশাফল (রদবদল) একটি রুটিন ওয়ার্ক। দেখুন নতুন বছরে হয়তো কিছু হতে পারে। নিজের সাধারণ সম্পাদক পদে পুননির্বাচিত হওয়ার মধ্যে তিনি চমকের কিছু দেখছেন না। আর দলের নতুন কমিটিতে কোন চমক আছে কি না, সে বিষয়েও এখন তিনি কোন মন্তব্য করতে চান না। শুধু বলেন, ‘আমি তো আগের মানুষ, চমক হবো কেন?’
রবিবার সচিবালয়ের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার সভাপতিমন্ডলীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। আমি আশা করছি, সেদিনই (মঙ্গলবার) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী কমিটিতে নেই- এ বিষয়টি কোন ইঙ্গিত দেয় কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, দলে কিছু কিছু নতুন মুখ এবং দায়িত্বের পরিবর্তন হয়েছে, সেটা হয়েছে দলীয় কর্মকান্ডে আরও গতিশীলতা আনার জন্য।
আওয়ামী লীগের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের পর মন্ত্রিসভায় কোন পরিবর্তন আসবে কি না, সে সম্পর্কে ওবায়দুল কাদেরের কাছে প্রশ্ন রাখেন একজন সাংবাদিক। জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, মন্ত্রিসভা পুনর্বিন্যাস একটি রুটিন ওয়ার্ক। নতুন বছরে এটা হতে পারে। তিনি বলেন, দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নবগঠিত কমিটির কয়েকটি পদ যেমন সাংগঠনিক সম্পাদক, ধর্ম সম্পাদক, শিল্প-বাণিজ্য, কোষাধ্যক্ষ এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদকের পদ খালি আছে। ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণাও বাকি। তাই আশা করছি নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে পূর্ণাঙ্গ একটি কমিটি ঘোষণা করা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিকী ববি এরা কেউ নেতৃত্বে আসবেন, এমন কোন ইঙ্গিত পাইনি।’ অপর এক প্রশ্নে আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন বলেই দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছি। আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে হবে।’
দল সম্পর্কে সেতুমন্ত্রী বলেন, সুশৃঙ্খলভাবে আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শত্রুরাও এ কথা বলবে। তবে আমরা স্বস্তিতে ছিলাম না। সম্মেলন শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা অস্বস্তিতে ছিলাম। বিরোধীদের অনেকেই সম্মেলনে উপস্থিত থাকলেও বিএনপির পক্ষ থেকে কেউ ছিলেন না। তারা যে নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়েছে, এটি গণতান্ত্রিক চর্চা। তারা সমালোচনা করেছে, এটিও ভাল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দলে কিছু নতুন মুখ এসেছে। দলকে শক্তিশালী ও গতিশীল করা এই কমিটির লক্ষ্য। আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনা করছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে। অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগকে সামনে এগুতে হয়েছে। সরকার গঠন করতে জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট করতে হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ তার আদর্শ থেকে এক চুল পরিমাণও সরে যায়নি। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে আমাদের অনেক কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছে।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর দায়িত্বের সঙ্গে দলে সাধারণ সম্পাদকের কাজ চালাতে সুবিধাই হয়েছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ দেখতে গিয়ে রাস্তা দেখি, রাস্তা দেখতে গিয়ে আওয়ামী লীগ দেখি। রাস্তা দিয়েই তো যেতে হয়, আওয়ামী লীগের কোন অনুষ্ঠানে গেলে সব জায়গায় প্রকৌশলীদের সঙ্গে মিটিং করেছি, এখানে দুটি দায়িত্ব পালন এক সঙ্গে হচ্ছে।’
সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের সভাপতিম-লীর সদস্য হওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এখানে কমিটির যাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে, এটা আমাদের নেত্রী খসড়াটা তৈরি করে কাউন্সিলরদের সম্মতি নিয়েছেন। গঠনতন্ত্রের কিছু আপডেট, এছাড়া কমিটি ঘোষণা করেও কাউন্সিলরদের সম্মতি নিয়েছেন। যে কমিটি হয়েছে, সেখানে আওয়ামী লীগের সাড়ে ৭ হাজার কাউন্সিলরের সম্মতি ছিল, তাই এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।’