শীতার্ত দুস্থদের পাশে দাঁড়ান

18

শীতে কাঁপছে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলসহ সারা দেশ। রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শৈত্যপ্রবাহের বিস্তার আরো বাড়বে। শীতের প্রকোপে দুর্ভোগে পড়েছে দরিদ্র-দুস্থ মানুষ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঘন কুয়াশা। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ দরিদ্র মানুষকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে। প্রচণ্ড শীতে ঠাণ্ডাজনিত রোগ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষ ডায়রিয়া ও ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। এরই মধ্যে এ ধরনের রোগী ভর্তি শুরু হয়ে গেছে অনেক হাসপাতালে। তীব্র শীতে কষ্ট পাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ, আবার মাঠের ফসলের জন্য বিপদ ডেকে এনেছে ঘন কুয়াশা। মাঠে থাকা বোরো ধানের বীজতলা, আলু ও সরিষার চারা কুয়াশার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঘন কুয়াশায় দেশের সড়ক ও নৌপথে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ প্রধান শহরের বায়ুদূষণ পরিস্থিতিও ধারাবাহিকভাবে খারাপ হচ্ছে কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায়।
এবারের মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে শীতজনিত নানা রোগের প্রকোপও বাড়ছে। এমনিতেই শীতের এই সময়টায় ঠাণ্ডাজনিত সমস্যাগুলোই বেশি দেখা যায়। কাশি, অ্যাজমার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি সাময়িক জ্বর, কোল্ড অ্যালার্জিও হয়ে থাকে। এ সময় বাতাসে ধুলাবালি বেশি থাকায় অনেকের অ্যালার্জি বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষদের কাশি, কোল্ড অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঠিক সময়ে শনাক্ত করা না গেলে সেটা অনেক সময় নিউমোনিয়ায়ও রূপ নিতে পারে। আবার ঠাণ্ডার কারণে অনেকের টনসিল বেড়ে গিয়ে ব্যথা হতে পারে। শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে আমাদের সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। অসুস্থ শিশুদের শীতের হাত থেকে রক্ষায় মা-বাবাদের আরো বেশি সচেতন হতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। শীতজনিত কোনো রোগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই ওষুধ সেবন করা বাঞ্ছনীয়।
এই শীতে দাঁড়াতে হবে দুস্থ-বিপর্যস্ত মানুষের পাশে। সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতার্ত দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়েও এ ধরনের উদ্যোগ নিতে হবে।