‘নীরব ঘাতক আর্সেনিক’

36

আমাদের দেশে মরণ ব্যাধি অন্যান্য মহামারির মত আর্সেনিক নামক নীরব ঘাতক হিসাবে খ্যাত ব্যধিটির বর্তমান অবস্থা বা খোঁজ-খবর নেই বললেই চলে।
আর্সেনিক নামক ব্যাধিটি বর্তমানে সকলের নজরের বাহিরে থাকায়, এ রোগটি সম্পর্কে ঘাটাঘাটির কোন লক্ষণ নেই জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে-সাথে মরণ-ঘাতক আর্সেনিক এর বিস্তার কতটুকু বাড়ছে-না কমছে, তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
আমাদের দেশে বিশেষ করে মৌসুমী ভাইরাস রোগ হিসাবে সর্দি-কাশি, জ্বর, ডেঙ্গু জ্বর, নিউমোনিয়া, এক-কালের কালোজ্বর, ম্যালেরিয়া, বর্তমানে করোনা ভাইরাস’র প্রকোপে বিশ্বময় আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়াও দেশে রয়েছে, ছয় ঝৃতু অনুযায়ী বিভিন্ন রোগ-ব্যধির মধ্যে কলেরা, টাইফয়েড, ডায়রিয়া, হাম-বসন্তসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব লেগেই রয়েছে। এসব রোগ-ব্যাধির মধ্যে মরণ ব্যাধি নীরব ঘাতক আর্সেনিক নামক ব্যধিটি নিয়ন্ত্রণে আনতে কোন পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
দেশের সরকার গুলো বিভিন্ন সময়ে অব্যাহত কর্মসূচীর মাধ্যমে শিশু-বৃদ্ধদের জীবন রক্ষায় এ সব মৌসুমী রোগ-ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও মরণ ব্যাধি ঘাতক আর্সেনিক নামক রোগটি কতটুকু নিয়ন্ত্রণে এসেছে, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে।
মরণ ঘাতক আর্সেনিক সাধারণত পানি-বাহিত রোগ। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ টিউব ওয়েলের পানি পান করে থাকে। এ পানিতেই কয়েক বছর পূর্বে আর্সেনিক ধরা পড়ে। এ রোগ সাধারণত; টিউব ওয়েলের পানিতে ধরা পড়ে। এ রোগ মানুষের হাতে খোসার মত চিহৃ দেখা যায়। এক সময়ে ক্যান্সার নামক মরণ ব্যাধিতে রূপ নেয়। এ রোগ নিয়ে কয়েক বছর পূর্বে দেশময় আলোচনার ঝড় উঠেছিল। তৎকালীন সরকার শহর-গঞ্জ, গ্রামাঞ্চলের সব গুলো টিউবওয়েলের পানি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আর্সেনিক যুক্ত টিউবওয়েলেগুলা ক্রস চিহ্ন দিয়ে বন্ধ করা হয়েছিল। দেশের সাধারণ মানুষ আর্সেনিক মুক্ত পানির জন্য প্রতিটি টিউব ওয়েলের পানি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য স্থানীয় হাসপাতাল সহ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভীড় করে, পানি পরীক্ষা করানোর কাজ নিয়ে অস্তির ছিল। এ সময় স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ী-বাড়ী ঘুরে প্রতিটি বাড়ীর টিউবওয়েলের পানিতে আর্সেনিক পরীক্ষা করে আর্সেনিক মুক্ত ঠিক চিহ্ন দিয়ে আসতো।
বর্তমানে শহর-গ্রামাঞ্চলের টিউবয়েলের পানি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কোন পদক্ষেপ লক্ষ্যনীয় নয়।
ফলে চলমান করোনা মহামারির কারণে কি ? মরণব্যাধি নীরব ঘাতক আর্সেনিক নামক রোগ নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নেয়া বন্ধ হয়ে গেল, তাই ভাবছেন সাধারণ মানুষ। মরণব্যাধি নীরব ঘাতক আর্সেনিক রোধে পদক্ষেপ নিতে সরকার উদ্যোগ নিতে এগিয়ে আসবেন বলে সচেতন মহল মনে করেন।