মালয়েশিয়া থেকে সংবাদদাতা :
মালয়েশিয়ায় অভিবাসীদের ওয়ার্ক পারমিট দেওয়ার বিষয়ে সরকারি এক প্রকল্পে প্রায় সাড়ে সাত লাখ অভিবাসী ফি জমা দিলেও ওয়ার্ক পারমিট পেয়েছেন এক লাখ ১০ হাজারের মতো। বঞ্চিত অভিবাসীরা তাদের ফি-ও আর ফেরত পাননি। তাতে তাদের জনপ্রতি এক লাখ ২০ হাজার টাকা হিসাবে মোট সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা গচ্চা যায়।
মালয়েশিয়ায় অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করে এমন একটি বেসরকারি সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ‘ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে’ নামে দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম গত ১৭ ডিসেম্বর সংস্থাটির বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করে।
শ্রমের অনুমতি (ওয়ার্ক পারমিট) না থাকা অভিবাসীদের ওয়ার্ক পারমিট দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৬ সালে ‘হিয়ারিং প্রোগ্রাম’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছিল মালয়েশিয়া সরকার। প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয় ২০১৮ সালে। রাষ্ট্রের এমন উদ্যোগে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় সাড়ে সাত লাখ অভিবাসী তাদের পাসপোর্ট ও হাড়ভাঙা পরিশ্রমে সঞ্চিত টাকা জমা দিয়েছিলেন।
সরকারি এ প্রকল্প পরিচালনা করে দেশটির বেসরকারি সংস্থা (ভেন্ডর)। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনপ্রতি ৬ হাজার রিঙ্গিত জমা নেয়, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় এক লাখ ২০ হাজার টাকা। মোট ৭ লাখ ৪৪ হাজার অভিবাসী এই ফি জমা দেন। সরকারের কোষাগারে জমা পড়ে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। প্রতিবেদনমতে, ওই অভিবাসীদের মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট পেয়েছেন মাত্র এক লাখ ১০ হাজার জন। বাকি ৬ লাখ ৩৪ হাজার জনকে ওয়ার্ক পারমিট এমনকি তাদের জমা দেয়া টাকা ও পাসপোর্ট ফেরত দেয়া হয়নি।
সংস্থাটির প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ওয়ার্ক পারমিট না পাওয়া অভিবাসীদের জমা দেয়া অর্থের পরিমাণ প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা।