শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখল চট্টগ্রাম

7

স্পোর্টস ডেস্ক :
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ডেভিড মালানের ঝড়ো ইনিংসের পরও জয়ের দেখা পেল না কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। ছয় ম্যাচের পাঁচটিতেই জয় নিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬ রানে পরাজয় বরণ করল কুমিল্লা।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় কুমিল্লা কাপ্তান দানুশ শানাকা। ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রাম অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের ৬২ রান ও চ্যাডউইক ওয়ালটনের অপরাজিত ৭১ রানের উপর ভর করে ২৩৯ রানের বড় টার্গেট গড়ে ফেলে চট্টগ্রাম। জবাবে খেলতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে সাত উইকেট হারিয়ে ২২২ রান করতে সমর্থ্য হয় কুমিল্লার ব্যাটসম্যানরা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ব্যাটিংয়ে নেমে স্বাগতিক ওপেনার লেন্ডল সিমন্স করেন ১০ রান। আরেক ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দো ২৭ বলে তিনটি চার আর তিনটি ছক্কায় করেন ৪৮ রান। তিন নম্বরে নামা ইমরুল কায়েস ৪১ বলে ৯টি চার আর একটি ছক্কায় করেন ৬২ রান।
নাসির হোসেন ফেরেন ৩ রানে। চ্যাডউইক ওয়ালটন ২৭ বলে ৫টি চার আর ৬টি ছক্কায় ৭১ রান করে অপরাজিত থাকেন। নুরুল হাসান সোহান ১৫ বলে ২টি চার আর ২টি ছক্কায় করেন অপরাজিত ২৯ রান। অবিচ্ছিন্ন থেকে তারা দুজন ৩৪ বলে তুলে নেন ৯৯ রান।
কুমিল্লার স্পিনার মুজিব উর রহমান ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। সৌম্য সরকার ৩ ওভারে ৪৪ রানের বিনিময়ে তুলে নেন দুটি উইকেট। দাসুন শানাকা ৪ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে পান একটি উইকেট।
বিশাল টার্গেট মোকাবেলা করার মানসিকতা নিয়ে শুরুটা মোটেও ভালো করতে পারেনি কুমিল্লার ব্যাটসম্যানরা। ৮ বলে মাত্র ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন কুমিল্লার ওপেনার ভানুকা রাজাপাকসে। মেহেদী হাসানের গতির শিকার হন এই ব্যাটসম্যান। আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারও ১৫ রানে মাঠ ছাড়েন। দুই ওপেনারকে অনুসর্ণ করে ৫ বলে ৫ রানে ক্রিজ ছাড়েন আরেক মারকুটে ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান।
তিন উইকেট যাওয়ার পরও খাবি খায়নি ডেভিড মালান। ৩৮ বলে ৮৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে একাই কাঁপিয়ে দিয়েছেন চট্টগ্রামের খেলোয়াড়দেরকে। মেহেদি হাসানের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ওয়ালটনের হস্তগত হন কুমিল্লার এই আশা জাগানিয়া ব্যাটসম্যান।
মালানের পর ইয়াসির আলী ১৭ বলে ২১ রান, দানুশ শানাকা ২১ বলে ৩৭, মাহিদুল ইসলাম ৭ বলে ১৩, সুমন খান ৬ বলে ৮ ও আবু হায়দার ১০ বলে ২৮ করলেও জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে পারেনি।
এই জয়ের মাধ্যমে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে নিজেদের অবস্থান অব্যাহত রাখল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের খেলোয়াড়রা।