কাজিরবাজার ডেস্ক :
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভার ছাড়পত্র পেয়ে গেছে। বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভার বৈঠকে নাগরিকত্ব সংশোধন বিলের খসড়া পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। খবর, সেই বিলে অনুমোদন মিলেছে। আগামী সপ্তাহেই এই বিল সংসদে উঠবে।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছিলেন, এই মুহূর্তে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এই বিলকে। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ তকমা প্রত্যাহারসংক্রান্ত ৩৭০ ধারা বিলোপের মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল।
বস্তুত, ১৯৫৫ সালের সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট সংশোধন করতেই ওই বিল আনা হচ্ছে। এই বিল অনুযায়ী পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আসা সেই দেশের সংখ্যালঘু অর্থাৎ হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিষ্টান ধর্মালম্বীরা ভারতে ৬ বছর থাকলেই নাগরিকত্ব পাবেন। আগে এই সময়সীমা ছিল ১২ বছর। নাগরিকপঞ্জির মতো এই বিলের বিরোধিতা করেছে বিরোধী কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএমসহ বেশ কয়েকটি দল।
তাদের দাবি, ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া যায় না। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময়েই বিজেপির অ্যাজেন্ডা ছিল নাগরিকপঞ্জি তৈরি করা। আসামে সেই নাগরিকপঞ্জি তৈরির পরই ক্ষোভ শুরু হয়েছে বিজেপির ভেতরে। কারণ নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ পড়েছেন কয়েক লাখ হিন্দু। বিরোধীদের দাবি, ওইসব মানুষের নাগরিকত্ব পাইয়ে দিতেই আনা হচ্ছে এই বিল। কারণ বিজেপি প্রকাশ্যেই বলে আসছে, তালিকা থেকে বাদপড়া হিন্দুদের কোনো চিন্তা নেই। তাদের নাগরিকত্ব দিতে আনা হচ্ছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল।