শেখ ফজলুল হক মণির আজ জন্মবার্ষিকী

11

কাজিরবাজার ডেস্ক :
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বিরল প্রতিভার অধিকারী ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণির ৮০তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৩৯ সালে ৪ ডিসেম্বর টুঙ্গিপাড়ায় ঐতিহাসিক শেখ পরিবারে বহুগুণে গুণান্বিত রাজনীতিক ও সাংবাদিক শেখ মণি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম শেখ নূরুল হক বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি। মা শেখ আছিয়া বেগম বঙ্গবন্ধুর বড় বোন।
শেখ মনির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী যুবলীগ দিনব্যাপী কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। কর্মসূচীতে রয়েছে বেলা ১১টায় বনানী কবরস্থানে যুবলীগ প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মনিসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, দোয়া ও মোনাজাত। দুপুর ২টায় কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ ফজলুল হক মনিকে প্রধান করে ১৯৭২ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে বাংলাদেশের প্রথম যুব সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এদেশে যুব রাজনীতির সূচনা করেন। শেখ ফজলুল হক মনি ব্যক্তি জীবনে দুই পুত্র সন্তানের জনক ছিলেন। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে শেখ ফজলুল হক মনি ও তার স্ত্রী বেগম আরজু মনি শাহাদাতবরণ করেন। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তার দুই পুত্র শেখ ফজলে শামস পরশ ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এমপি।
শেখ ফজলুল হক মনি ঢাকা নব কুমার ইনস্টিটিউট থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন। এরপর তিনি জগন্নাথ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন ১৯৫৮ সালে। ১৯৬০ সালে তিনি বরিশাল বিএম কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রী লাভ করেন। শেখ ফজলুল হক মনি কেবল রাজনীতি নয়, সাহিত্য এবং সাংবাদিকতায়ও অবদান রাখেন। তার ‘অবাঞ্ছিতা’ উপন্যাস পাঠক সমাদৃত। দৈনিক বাংলার বাণী, ইংরেজী দৈনিক বাংলাদেশ টাইমস ও বিনোদন ম্যাগাজিন ‘সিনেমা’র সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পরিচালিত মহান মুক্তিযুদ্ধে শেখ মনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি মুজিব বাহিনীর অন্যতম অধিনায়ক ছিলেন।
যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মনির জন্মদিনে যুবলীগ চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল মঙ্গলবার যৌথ বিবৃতিতে বলেন, শেখ ফজলুল হক মনি একজন তেজস্বী ছাত্রনেতা ছিলেন। ’৬০ এর দশকের সামরিক শাসন বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাহসী নেতৃত্বের মাধ্যমে তিনি লৌহমানব খ্যাত পাকিস্তানী প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের গদি কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন। শেখ মনি ১৯৬১-৬২ মেয়াদে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন (কনভোকেশন) আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান করেন মোনায়েম সরকার তার এমএ ডিগ্রী কেড়ে নিয়েছিল।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ঘোষিত বাঙালীর মুক্তি সনদ ৬ দফা আন্দোলনে গ্রেফতার হয়ে শেখ মনি প্রায় তিন বছর কারাগারে ছিলেন এবং বিভিন্ন আন্দোলনে আরও তিন বছর কারা ভোগ করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পরিচালিত মহান মুক্তিযুদ্ধে শেখ মনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি মুজিব বাহিনীর অধিনায়ক ছিলেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী এবং বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তিনি ১৯৭২ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে বাংলাদেশের প্রথম যুব সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এদেশে যুব রাজনীতির সূচনা করেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫-এ জাতীয় ঐক্যের রাজনৈতিক দল বাকশাল গঠনের পর শেখ ফজলুল হক মনি বাকশালের অন্যতম সম্পাদক নির্বাচিত হন।