কাজিরবাজার ডেস্ক :
দেশজুড়ে প্রাথমিক ও এবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ। উভয় পরীক্ষাতেই আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ইংরেজী পরীক্ষা। তবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে। এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৯ লাখ তিন হাজার ৬৩৮ জন। গত বছর পরীক্ষার্থী ছিল ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ২৭০ জন। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে দুই লাখ ২৩ হাজার ৬১৫ জন। তবে মাদ্রাসার এবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় গতবারের চেয়ে প্রায় ৩১ হাজার পরীক্ষার্থী বেড়েছে।
ইতোমধ্যেই পরীক্ষা গ্রহণের সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর মহাপরিচালক ড. এএফএম মনজুর কাদির বলেছেন, সমাপনী পরীক্ষা সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করার জন্য ইতোমধ্যে যাবতীয় কাজ শেষ করা হয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থা ও নিরাপত্তার সঙ্গে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মুদ্রণ ও বিতরণ কাজ শেষ হয়েছে। প্রশ্নপত্র বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। তা সংশ্লিষ্ট থানা/ট্রেজারি হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরীক্ষার দিন সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বজায় রেখে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নপত্র উপজেলা থেকে কেন্দ্র সচিবের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। এছাড়া দুর্গম এলাকার ১৮৪টি কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়েছে।
মহাপরিচালক জানান, পরীক্ষা চলবে ২৪ নবেম্বর পর্যন্ত। এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২৫ লাখ ৫৩ হাজার ২৬৭ জন। এবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী তিন লাখ ৫০ হাজার ৩৭১ জন। প্রাথমিকে এবার তিন হাজার ৩৪৭ জন এবং এবতেদায়িতে ২৩৬ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসবে। সাত হাজার ৪৭০টি কেন্দ্রে সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দেশের অভ্যন্তরে সাত হাজার ৪৫৮টি এবং আটটি দেশে ১২টি কেন্দ্র রয়েছে। দেশের বাইরে সৌদি আরবে চারটি, সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুটি এবং বাহরাইন, ওমান, কুয়েত, লিবিয়া, গ্রিস ও কাতারে একটি করে কেন্দ্র রয়েছে। বিদেশের কেন্দ্রগুলোতে মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৬১৫ জন। যার মধ্যে ২৮৯ ছাত্র ও ৩২৬ ছাত্রী।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ২০১৫ সাল থেকেই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমা শুরু হয়েছে। প্রাথমিকে ২০১৫ সালে সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থী ছিল ২৯ লাখ ৫০ হাজার, তার পর থেকে কমা শুরু হয়েছে। এরপর ২০১৬ সালে ২৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭ জন, ২০১৭ সালে ২৮ লাখ ছয় হাজার ৯৬ জন এবং ২০১৮ সালে ২৭ লাখ ৭৭ হাজারন্ড প্রত্যেক বছরে কমছে।