বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
“গেছে বার গাথ মত জালা বাইন করছি, এইবার পানি দেরীতে ভাইটাইতাছে, তাই জমি রোয়াইতেও একটু দেরী আইবো’’। হাওর পারের আঞ্চলিক ভাষায় কথা গুলো বললেন মধ্য তাহিরপুর গ্রামের কৃষক নুর ইমান হোসেন। রবিবার সকালে শনির হাওরে বোরো ধানের বীজ তলা তৈরীর সময় কথা হয় তার সাথে। তিনি যেটুকু বোঝাতে চাইছেন তা হলো হাওর থেকে পানি ধীর গতিতে নামছে যে কারণে চলতি বছর বীজতলা তৈরী করতে একটু বিলম্ব হচ্ছে। গত বছর সময় মত হাওর থেকে পানি নেমে যাওয়ায় যথা সময়ে জমি রোপণ করেছিলেন বলেও তিনি জানান। তাই চলতি বছর তিনি আশংকা করছেন আশানুরূপ ফলন তিনি না ও পেতে পারেন।
শুধু নুর ইমান হোসেন নয় এ অবস্থার কথা জানালেন উজান তাহিরপুর গ্রামের কৃষক নুর আলী, সারোয়ার হোসেন সহ, মহিবুর রহমান সহ অনেকে। তাদের মতে যথা সময়ে বোরো ধান রোপণ করতে পারলে বৈশাখ মাসে ধান কাটা নিয়ে চিন্তায় পড়তে হয়না, বৃষ্টি বাদল শুরু হওয়ার আগেই ধান কাটা মাড়াই শেষ করা যায়। অপরদিকে হাওরে পানি নিষ্কাশন দেরীতে হলে বোরো ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রাও কিছুটা অনিশ্চিত হয়ে পরে।
জানা যায়, তাহিরপুর উপজেলা ছোট বড় ২৩ টি হাওরে কৃষি উপযোগী জমি রয়েছে ২০ হাজার হেক্টরেরও অধিক। তার মধ্যে ১৮ হাজার ৩’শ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ করা হয়। বর্তমানে হাওরে-হাওরে বীজতলা রোপণ মৌসুম শুরু হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই বোরো ধানের চারা রোপন মৌসুম শুরু হবে। কিন্তু যথা সময়ে পানি না নামায় কৃষক চিন্তিত হয়ে পড়ছেন।
শনির হাওর পার বীরনগর গ্রামের কৃষক আলী হোসেন জানান, গত বছর এ সময়ে তিনি বোরো ধান রোপণ করেছিলেন। চলতি বছর তিনি এ সময়ে বীজতলা তৈরী করে বীজ বপন করেছন। তার মতে চলতি বছর ১৫ দিনের মত পিছিয়ে যাবে বোরো ধান রোপণ মৌসুম।
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকতা মোঃ হাসান উদ দৌলা বলেন, কৃষকদের কাছে শুনেছি হাওরের পানি একু ধীর গতিতে নামছে তাই কিছুদিন পিছিয়ে যেতে পারে বোরো মৌসুম।