শাবি থেকে সংবাদদাতা :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সেমিস্টার ও বিগত সেমিস্টারের টিউশন ফি এবং পরিবহন ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার সন্ধ্যায় শাহজালাল বিশ^বিদ্যালয় প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় কালে এই তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
উপচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে টিউশন ফি এবং পরিবহন ফি মওকুফের জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী সিন্ডিকেট সভা, একাডেমিক কাউন্সিলের সভা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে পূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা তাদের ক্রেডিট ফি ও সেমিস্টার ফি ছাড়াই পরীক্ষা দিতে পারবে। পরবর্তী শিক্ষার্থীদের সুবিধামত সময়ে টাকা পরিশোধ করে সার্টিফিকেট উত্তোলন করতে হবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘আবাসিক শিক্ষার্থীদের এখন হলে ভর্তি হবার প্রয়োজন নেই এবং হলের ছাড়পত্র ছাড়াই তারা পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। শিক্ষার্থীদের আবাসিক সমস্যা নিরসনে স্ব স্ব ডিপার্টমেন্ট কাজ করে যাবে। শিক্ষার্থীরা করোনাসহ যেকোন রোগে আক্রান্ত হলে বিশ^বিদ্যালয় ইমার্জেন্সি স্বাস্থ্যসেবার ব্যাবস্থা করবে। ক্যাম্পসে করোনা আইসোলেশন সেন্টারের ব্যাবস্থা করা ছাড়াও যেকোন স্বাস্থ্যসেবার জন্য শাহজালাল বিশ^াবিদ্যালয়ের সাথে চুক্তিবদ্ধ মাউন্ট এডোরা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করা যাবে।’
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতিতে বিগত দুই সেমিস্টার অনলাইনে ক্লাস চলার পর গত ১৭ই ডিসেম্বর একাডেমিক কাউন্সিলে, আগামী ১৭ই জানুয়ারী থেকে মাস্টার্স এবং অনার্স চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরিক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হল না খুলে পরিক্ষা গ্রহন এবং কম সময়ের মধ্যে সেমিস্টার ফি ও ক্রেডিট ফি প্রদানের ক্ষেত্রে বিড়ম্বনায় পড়েন শিক্ষার্থীরা।
এসময় শাহজালাল বিশ^বিদ্যালয়ের নবনির্বাচিত কমিটিকে শুভেচ্ছা জানান উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক রাশেদ তালুকদার, শাবি প্রেসক্লাবের সভাপতি জুবায়ের মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আল রাজী, সদ্য বিদায়ী সভাপতি হোসাইন ইমরান, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী কবিরসহ প্রেসক্লাবের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।’