ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
পল্লী বিদ্যুৎ ছাতক জোনাল অফিসের গাড়ি চালক আব্দুল হালিম গাজির ভাড়াটিয়া বাসায় দু:সাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে। চোরেরা তালাবদ্ধ বাসার পিছনে বাথরুমের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে প্রবেশ করে স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান মালামাল ও জরুরী কাগজপত্রসহ প্রায় ৫লক্ষাধিক টাকা মুল্যের মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি উপজেলার গোবিন্দগঞ্জের দিঘলী রামপুর (ধানাই হাজির) বাড়িতে মঙ্গলবার ঘটেছে।
এ ঘটনায় বুধবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, আব্দুল হালিম গাজি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানার এসআই শামীম আকঞ্জী একদল পুলিশসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
জানা যায়, ঢাকা জেলার কাপরুল থানার ১৬১নং মানিকদি এলাকার মৃত জামাল গাজির পুত্র আব্দুল হালিম গাজি সাড়ে ৩ বছর ধরে পল্লী বিদ্যুৎ ছাতক জোনাল অফিসের গাড়ি চালক হিসেবে কাজ করে আসছেন। স্ত্রীকে নিয়ে তিনি অন্য বাসা থেকে এ ভাড়াটিয়া বাসায় উঠেন প্রায় ৭মাস আগে। সোমবার সকালে গাজির স্ত্রী মেয়ের বাড়ি সুনামগঞ্জে চলে যান। ঘটনার দিন সকাল ৮টায় অফিসের কাজে বাসা তালাবদ্ধ রেখে তিনি বের হন। দিন শেষে রাত সাড়ে ১১টায় বাসায় ফিরে দেখেন চোরেরা তালাবদ্ধ বাসার পিছনে বাথরুমের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে প্রবেশ করে রুমের ভেতরের কাঠের আলমিরার ড্রয়ারের তালা ভেঙ্গে ৯ভরি ৭আনা ওজনের স্বর্ণালঙ্কার, ওয়াড্রপের তালা ভেঙ্গে লাকেস থেকে দামি শাড়ি ও তার চাকরির ব্যক্তিগত নথিপত্র, ব্যবহৃত দুটি চার্জার টর্স লাইটসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরেরা। থানায় দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরে থানা পুলিশের এসআই শামীম আকঞ্জি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আব্দুল হালিম গাজি বলেন, গত বছরে স্থানীয় তকিপুর গ্রামের হাজি রাজ্জাকের বাড়িতে ভাড়াটিয়া থাকাবস্থায় রাতে ক্যাসিগেটের তালা ভেঙ্গে ১২৫ সিসি ডিসকভার মোটর সাইকেল নিয়ে যায় চোরেরা। এ ঘটনার পরও ছাতক থানায় তিনি একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত এ মোটর সাইকেলটি উদ্ধার হয়নি। পর পর দু’বার বাসায় দু:সাহসিক চুরি সংঘটিত হওয়ায় তিনি উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার মধ্যে পড়েছেন।