গোলাপগঞ্জে গণপিটুনিতে একাধিক মামলার আসামী নিহত

68

গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জে স্থানীয়দের গণপিটুনিতে লিপন চন্দ্র দেব (৩৫) নামে একাধিক মামলার আসামী নিহত হয়েছে। সে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ দত্তরাইল নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত নগেন্দ্র চন্দ্র দেবের ছেলে। গণ পিটুনিতে লিপন চন্দ্র দেব মারা যাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি নেমেছে। সম্প্রতি সময়ে নিহত লিপন চন্দ্র দেব মাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ায় মায়ের দায়ের করা মামলায় বেশ কয়েকদিন জেলও খেটেছে। ঘটনাটি ঘটে সোমবার সন্ধায় নিহতের নিজ বাড়ি দত্তরাইল নোয়াপাড়া গ্রামে।
জানা যায়, উপজেলার দত্তরাইল নোয়াপাড়া গ্রামের লালমতি রুহি দাশের ভূমি রিপন চন্দ্র দেব দখল করতে চাইলে বাধা প্রদান করেন লালমতি রুহি দাশ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলায় চালায় লালমতি দাশসহ তার পুরো পরিবারের উপর এবং তার ঘর থেকে নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায় রিপন চন্দ্র দেব। এ ব্যাপারে লালমতি রুহি দাশ গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় মামলা নং ২৩ দায়ের করলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন রিপন চন্দ্র দেব। তিনি গত সোমবার বিকেলে মামলার বাদি লালমতি রুহি দাশকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য দেশীয় অস্ত্র ধারালো দা (বটি) দিয়ে হামলা চালায়। সংবাদ পেয়ে গোলাগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে লিপন চন্দ্র দেব ও তার স্ত্রী পুলিশের উপরও হামলা চালায় এবং কাঁচের বোতল ও পাথর দিয়ে ঢিল মারতে থাকে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে লিপন চন্দ্র দেবকে গণ পিটুনি দিলে গুরুতর আহত হন লিপন চন্দ্র দেব। তাকে আহত অবস্থায় প্রথমে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে অবস্থার অবনতি দেখে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হেপী রানী দেব জানান, তিনি তার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ওই মামলায় সে জেল খেটে জামিনে বেরিয়ে এসেছে। প্রায়ই আমাকে মারধর করত এবং আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। নিহত রিপন চন্দ্র দেবের বিরুদ্ধে গোলাপগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এলাকাবাসী জানান, সে মামলাবাজ, একাধিক মামলার আসামী ও মাদক ব্যবসায়ী ছিল। এলাকার মানুষজন অতিষ্ঠ ছিলেন তার অত্যাচারে। এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি একেএম ফজলুল হক শিবলীর সাথে আলাপ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সে মাদক মামলাসহ একাধিক মামলার আসামী। রাতে নিহতের মা হেপী রানী দেব একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।