স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীতে আবারো পেঁয়াজের দাম বেড়ে চলেছে। গত ২দিন আগে যে পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে সে পেঁয়াজ এখন ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে পেঁয়াজের উত্তাপে বাজার অস্থিতিশীল অবস্থায় বিরাজ করছে।
গতকাল রবিবার খুচরা বাজারে পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ১৮০ ও সর্বনিম্ন ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন আগ্রহ দেখা না গেলেও তারা অবিলম্বে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন। এদিকে, সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় মিশরীয় পেঁয়াজ নিম্ন কেজিপ্রতি ১৯০ টাকায় বিক্রির খবর পাওয়া গেছে। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি যে পেঁয়াজ আমদানী হয়েছে যে পেঁয়াজ এখনও সিলেটে আসেনি। আসলে হয়তো পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে আসতে পারে।
পেঁয়াজ কিনতে আসা এক চাকুরীজীবী অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানালেন, পেঁয়াজের যে অবস্থা চলছে, তাতে মনে হয় না সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের জবাবদিহীতা রয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর পেঁয়াজের দাম একটু নেমেছিল। কিন্তু সহনীয় পর্যায়ে আসবে ভেবে অতিরিক্ত পেঁয়াজ ক্রয় করিনি। এখন পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছি। সময় নষ্ট করে প্রতিদিন কম কম পেঁয়াজ কিনছি। তিনি আরো বলেন, পেঁয়াজ ব্যতীত নিত্যপণ্যের দামও বাড়ছে। এজন্য আমার মতো চাকুরিজীবীদের কাঁচাবাজার করতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে।
জানা যায়, বিগত ৩ মাস ধরে পেঁয়াজের দাম উঠা-নামার মধ্যে রয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পুরোপুরি সরগরম। কেউ বিয়ের অনুষ্ঠানে গিফট হিসেবে পেঁয়াজ, আবার অনেকেই পেঁয়াজ না খেতে হাত তুলে শপথ করে সংবাদের শিরোনাম হতে দেখা গেছে। বাজার সিন্ডিকেটরা পেঁয়াজের দাম বাড়ার পেছনে কাজ করছে বলে বারবার অভিযোগ উঠছে। পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১৮০ টাকার বিক্রির এ ধারা অব্যাহত থাকলেও পেঁয়াজের পূর্বের বাজারদর ২৫০ টাকা অতিক্রম করবে কি-না, তা নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতারা সন্দিহান রয়েছেন।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজিপ্রতি ভারতীয় পেঁয়াজ ১৭০, বার্মিজ ১৮০ এবং মিশরীয় ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আব্দুল করিম নামের এক ক্রেতা প্রত্যেক দেশীয় ৫০০ গ্রাম পেঁয়াজ ক্রয় করে তিনি বলেন, মহিলাদের কাছে দাম বেশ-কম কিংবা দেশি-বিদেশি বলতে কিছু নেই। তারা যা পায় তা দিয়ে রান্না করে। এজন্য তিনপদের পেঁয়াজ একত্রে কিনলাম।