স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট সদর উপজেলার নেতৃত্ব নির্ধারণের চ্যালেঞ্জে জয়ী হতে পারলেন না কেন্দ্র ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। প্রায় ১১ বছর পর গতকাল রবিবার আয়োজিত এ সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন নির্বিঘেœ শেষ করতে পারলেও বিপত্তি ঘটে দ্বিতীয় অধিবেশনে নেতৃত্ব নির্ধারণের পালায়। শেষমেশ এই অধিবেশনের কোন গতি নির্ধারণ না করেই সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন নেতারা।
জানা গেছে, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে নেতৃত্ব নির্বাচন করার কথা ছিল। এ সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন সিলেট-১ আসনের সাংসদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি সমঝোতার মাধ্যমে কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে যান।
সম্মেলনে সভাপতি পদে ১০ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন ১৪ জন। পরে আলোচনার ভিত্তিতে সভাপতি পদে ৭ জন এবং সম্পাদক পদে ৮ জন নাম প্রত্যাহার করে নেন। ফলে চূড়ান্তভাবে সভাপতি পদে ৩ জন এবং সম্পাদক পদে ৬ জন টিকে থাকেন।
জানা গেছে, সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সমঝোতার মাধ্যমে কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক। তবে নেতাদের এমন প্রস্তাবে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মীরা সায় দেননি। তারা ভোটের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করার দাবি জানান।
এ নিয়ে হট্টগোল দেখা দিলে আহমদ হোসেন, মিসবাহ সিরাজসহ কয়েকজন নেতা সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন। পরে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলার সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ নেতাগণ সদরের তৃণমূল নেতাকর্মীদের বুঝিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে ওই দুই পদে নেতৃত্ব নির্বাচন করার চেষ্টা চালান। তবে তারাও ব্যর্থ হয়ে সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন।