জৈন্তাপুর থেকে সংবাদদাতা :
জৈন্তাপুরে বাস গাড়ীতে যাত্রীকে অজ্ঞান করে টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় সিএনজি চালকের সহযোগিতায় অজ্ঞান পার্টির ২ সদস্য আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।
গতকাল ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকাল জৈন্তাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া মাইক্রোবাসে সারীঘাট হতে গোলাম কিবরিয়া হেলাল সিলেটের উদেশ্যে যাওয়ার জন্য বাসে উঠেন। যাত্রাপথে বাগের সড়ক এলাকায় পৌছালে বাসটির যান্ত্রিক ক্রটি দেখা দেয়। যার কারণে চালক সকল যাত্রীদের নামিয়ে দেন বাঘের সড়কে। এ সময় যাত্রী গোয়াইনঘাট উপজেলার গোলাম কিবরিয়া হেলালকে সিটে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পেয়ে হেল্পার তিনি চিৎকার দিলে অন্যান্য যাত্রীরা এগিয়ে আসেন এবং অজ্ঞান যাত্রীকে উদ্ধার করে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অপরদিকে যাত্রীবেশি অজ্ঞান পার্টির ২ সদস্য দ্রুত বাঘের সড়ক এলাকা হতে সিএনজি ভাড়া করে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। তাৎক্ষণিকভাবে সিএনজি চালকের সাথে মোবাইল ফোনে আলাপকরে ঘটনার বিষয় জানানো হয় এবং কৌশলে তাদেরকে আটক করতে বলা হয়। চতুর সিএনজি চালক কৌশল অবলম্বন করে চিকনাগুল বাজারে গাড়ী দাঁড় করিয়ে তাদেরকে স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় আটক করে চিকনাগুল ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। সেখান থেকে পুলিশকে খবর দিলে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা গিয়ে তাদেরকে থানায় নিয়ে আসেন। আটককৃত অজ্ঞান পাটির সদস্যরা হল সুনামগঞ্জ জেলার সুরমা গ্রামের কসম আলীর ছেলে হাসান (৩৬) এবং নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের মেস্তফা মিয়ার ছেলে আলমগীর (৩০)। তাদের নিকট হতে ৫৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রক্রিয়া চলছে।
জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বণিক বলেন, স্থানীয় জনতা কর্তৃক ২ অজ্ঞান পার্টির সদস্য আটকের সংবাদ পেয়ে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে তাদেরকে জৈন্তাপুর থানায় আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে এবং তথ্য যাচাই বাছাই করে এই চক্রের মূল সদস্যদের আটক করতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করবে। তাদেরকে আগামীকাল আদলাতের প্রেরণ করা হবে।